Site icon Jamuna Television

৫ বছর পর পরিবারের কাছে জুথি

গৃহকর্তার নির্যাতন সইতে না পেরে আট বছর বয়সে ঢাকা থেকে পালিয়েছিলো আমেনা খাতুন জুথি। ট্রেনে চেপেছিলেন কোন কিছু না জেনে বুঝে, শুধুমাত্র বাঁচার তাগিদে। সেই ট্রেন তাকে নামিয়ে দিয়েছিল রাজশাহী স্টেশনে। এরপর রাজশাহী ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার। সেখান থেকে ঠাঁই হয় অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট (এসিডি) শেল্টার সেন্টারে। বাড়ির ঠিকানা পুরোপুরি বলতে না পারায় মাঝে পার হয়েছে ৫ বছর। পুলিশ আর ফেসবুকের কল্যাণেই সেই জুথি খুঁজে পেয়েছে তার পরিবারকে।

বুধবার আদালতের নির্দেশে পুলিশ মা সালমা বেগমের জিম্মায় তাকে প্রেরণ করে। সেসময় উপস্থিত ছিলেন জুথির ভাই সালাউদ্দিন, সং মা ঝর্ণা বেগমও। ৫ বছর পরের এই পূর্নমিলনে দারুন যুথি সহ তার পরিবার।

পুলিশের তথ্যমতে, ২০১৫ সালের ২ জানুয়ারি ভোর ৫টার সময় রাজশাহী রেলস্টেশন-এ বসে কাঁদছিলো জুথি। ফেরদৗস হোসেন নামের এক ব্যক্তি তাকে উদ্ধার করে নগরীর শাহমখদুম থানায় হস্তান্তর করেন। আট বছর বয়সী জুথি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেলো ‘সে ঢাকায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতো। সেখানে প্রায়ই তাকে মারধর করা হত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বাসা থেকে বের হয়ে ট্রেনে উঠে। ট্রেন রাজশাহী নিয়ে এসেছে। তার বাবা বাহরাইন থাকে এবং বাড়ি কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে।’ পুরো ঠিকানা বলতে না পারায় পুলিশ পরিবারকে খুঁজে না পেয়ে জুথিকে দীর্ঘমেয়াদী পুর্নবাসনের জন্য ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এসিডি’তে হস্তান্তর করে। সেখানে বেড়ে উঠতে থাকে জুথি। পেরিয়ে যায় ৫ বছর।

জুথির বয়স বেড়ে হয় ১৩ বছর। পুলিশ আবারো উদ্যোগী হয় জুথির পরিবারকে খুঁজে বের করতে। যোগাযোগ করে লাঙ্গলকোট থানা পুলিশের সাথে। লাঙ্গলকোট পুলিশ ফেসবুক টাইমলাইনে জুথির সকল বিবরণ শেয়ার করলে জুথির চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রী শারমিন পোস্টটি দেখার পর থানাতে যোগাযোগ করেন। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাজশাহী নগর পুলিশ জুথিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

Exit mobile version