Site icon Jamuna Television

গরমে স্বস্তির ঘুম পেতে যা করবেন

প্রচণ্ড গরমে ঘুমাতে কষ্ট হয় সবারই। তখন একটু প্রশান্তির জন্য ব্যাকুল থাকে মন। এদিকে ভালো ঘুম না হলে সকালটা হয় ম্যাড়ম্যাড়ে। আসুন, প্রচণ্ড গরমেও কিভাবে স্বস্তিতে ঘুমানো যায় সে সর্ম্পকে কিছু টিপস জেনেনি।

১. দিন ও রাতে যদি প্রচণ্ড গরম হয় তাহলে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করুন। কারণ এতে শরীরের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় অনেক কমে যাবে। ফলে ঘুমাতে কোনো অসুবিধা হবে না। এমনকি ঘুমটাও গভীর হবে। আর যদি গোসল করা সম্ভব না হয় তাহলে পায়ের পাতা ভিজিয়ে ঘুমুতে যান। দেখবেন স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবেন।

২. রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ঘরের কোণে এক বালতি ঠাণ্ডা পানি রাখতে পারেন। তাহলে ফ্যানের বাতাসে বালতির পানি বাষ্পাকারে পরিণত হবে। এতে ঘরের গরম অনেকটাই কমে আসবে। আবার আপনি চাইলে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ঘরের মেঝেতে পানি স্প্রে করতে পারেন। এতেও ঘরের তাপমাত্রা কমবে এবং আপনার ভালো ঘুম হবে।

৩. গরমের সময় জানালা খোলা রেখে ঘুমালেও স্বস্তি লাগে। আবার জানালায় ভারী কাপড় ভিজিয়ে ঝুলিয়ে রাখলেও ঘরের বাইরের বাতাস প্রবেশের সময় ঠাণ্ডা বাতাস পাবেন। এতে রাতের বেলা শান্তিতেই ঘুম হবে আপনার।

৪. ঘুমাতে যাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে একটি ভারী পশমি কাপড় ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। পরে ঘুমানোর সময় কাপড়টি কপালে দিয়ে শুয়ে পড়ুন। তাহলে খুব তাড়াতাড়িই ঘুম এসে যাবে আপনার।

৫. ঘুমাতে যাওয়ার কমপক্ষে ১.৫-২ ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন। কারণ খাওয়ার ১.৫-২ ঘণ্টা পর্যন্ত পরিপাকের কারণে শরীর গরম থাকে। তাই শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে রাতের খাবারটা আগেই খেয়ে নিন।
৬. সম্ভব হলে বিছানার চাদর রোজ রাতে বদলে নিন। কারণ পরিষ্কার বিছানায় ঘুমালেই মনে এক রকমের প্রশান্তি আসে; যা ভালো ঘুমাতে সহায়তা করে। তবে এক্ষেত্রে বিছানার চাদর সুতির হওয়াই ভালো।

৭. খুব বেশি ঘামার প্রবণতা থাকলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে শরীরে ট্যালকম পাউডার মেখে নিন। এক্ষেত্রে মেনথল ফ্লেভারের পাউডার বেশ আরাম দেবে।
৮. এই গরমে সন্ধ্যায় বা রাতে ব্যায়াম না করাই ভালো। আর যদি করতেই হয় তাহলে ব্যায়ামের পর ভালোভাবে স্নান করে পোশাক বদলে নিন।

৯. গরমের দিনে এক বিছানায় বেশি মানুষ না ঘুমানোই ভালো। সবসময় নিরিবিলিতে ঘুমাবার চেষ্টা করুন। সেটা সম্ভব না হলে পাশের মানুষ ও আপনার মাঝে একটি কোলবালিশ রাখতে পারেন।

১০. ফোমের বিছানায় গরম বেশি লাগে। তাই জাজিম ও তোশক ব্যবহার করুন। গরমে আরামে ঘুমাতে শিমুল তুলার বালিশও ব্যবহার করতে পারেন।

Exit mobile version