Site icon Jamuna Television

দলের সবাই জানে এই নিউজ কে করিয়েছে: সাকিব

বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দলে না রাখতে বলার বিষয়ে মুখ খুলেছেন করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। সাকিবের সাফ কথা, এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। যে এই বিষয়টা বলেছে বা এই সংবাদ করেছে, তিনি কাজটা ঠিক করেননি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ চলাকালে সাইফউদ্দিনকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদ নিয়েও মন্তব্য করেছেন সাকিব। বলেছেন, ও নাকি বড় দলের বিপক্ষে ভয়ে খেলে না। এসব খবর কি দলের জন্য ভালো? দলে যারা ছিল তারা জানে এই নিউজ কে করিয়েছে। সাইফউদ্দিন কি খেলেনি? একটা দলকে মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়ার জন্য এসবই যথেষ্ট।

সাকিব মনে করেন দলের ভেতর থেকেই এসব তথ্য গণমাধ্যমের কাছে গিয়েছে। বলেছেন, আপনি জানবেন কখন? যখন আমি বলব, যখন আমাদের কেউ বলবে, তখনই জানবেন। ভেতর থেকে যখন এসব খবর বাইরে যাবে, দলের ভালো করার সম্ভাবনা থাকলেও সেটা ওই সময় কমে যাবে। যেটা আমাদের ফলাফলেও প্রভাব ফেলেছে।

দৈনিক প্রথম আলোকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব যেন অকপট। তার কথা, প্রথমত, আমি ও রকম কিছু বলিনি। আর যদি বলেও থাকি, সেটা যে বাইরে এল, এর দায় কে নেবে? আমাদের ভেতরে আলাপ-আলোচনা হতেই পারে। সেখানে বিদেশি কোচদের বাইরে এক-দুজনই থাকে যারা দলের নীতিনির্ধারণী বিষয়ে সম্পৃক্ত। নিশ্চয়ই তাদের থেকেই এটা বের হয়েছে। সেটা কে? বিষয়টা খুবই খারাপ। তারা হয় দলের ভালো চায় না, অথবা ওই খেলোয়াড়ের ভালো চায় না। একজন চোটে পড়ায় আরেকজন খেলছে, তার সামনে যদি আপনি বলেন, ইশ্‌, আজ অমুক থাকলে ভালো হতো, ওই খেলোয়াড় কি জীবনে ভালো খেলবে! এগুলো যখন হয়, তখন দলের পক্ষে ভালো কিছু করা সম্ভব হয় না। এই দল যে বিশ্বকাপে ভালো কিছু করবে না, আমি সেই দিনই বুঝে গেছি।

তবে, নির্দিষ্ট কারো নাম বলেননি বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এক্ষেত্রে যেন বরাবরের মতোই কিছুটা কৌশলী তিনি, দেখুন এটুকু তো বুঝি যে দলে আমাদের দেশের যারা ছিলেন, তাদের কাছ থেকেই বের হয়েছে বিষয়টা। বিদেশি কোনো কোচিং স্টাফ সাংবাদিকদের এটা বলেছেন বলে বিশ্বাস হয় না। কারণ আমি যদি অধিনায়ককে এ রকম কথা বলেও থাকি, সেটা তো নিশ্চয়ই বাংলায় বলব।

সাকিবের এসব কথা সেই প্রবাদটিকেই মনে করিয়ে দেয়, যা রটে তার কিছুটাও তো বটে! বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ভেতরকার নানা সমস্যার কথা মাঝে মাঝেই শোনা যাচ্ছিল। তার অনেকটুকুরই যে ভিত্তি আছে সেটিই নিশ্চিত করলেন সাকিব।

Exit mobile version