Site icon Jamuna Television

অনুমোদন ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছে মিয়ানমারের এনজিও!

কোন ধরনের অনুমতি ছাড়াই কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছে মিয়ানমার ভিত্তিক একটি এনজিও-সিপিআই। এনজিওটির বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের তথ্য পাচার, সন্ত্রাসীদের মদদ ও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় বাঁধা দেয়ার প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা।

সেবামূলক কর্যক্রমের নামে দুই বছর ধরে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় কাজ করছে এনজিওটি।

গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কাজ করার কোন অনুমতি না থাকলেও দেশীয় রোকেয়া ফাউন্ডেশন, ভার্স, হেল্প কক্সবাজার, প্রত্যাশি, স্পেশ ও ওভার্ড সহ প্রায় দশটি এনজিওর পার্টনার হিসেবে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করছে।

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি মাহামুদুল হক চৌধুরী বলেন, মিয়ানমারের একটি সংস্থাই যদি এখানে কাজ করতে পারে তাহলে প্রত্যাবাসন হবে কিভাবে? সংস্থাটি প্রত্যাবাসন যাতে না হয় সেকাজই এনজিওটি চালিয়ে যাচ্ছে।

ব্যাবসায়ীক ‘ই’ টাইপ ভিসা নিয়ে সিপিআই এর কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করছেন মেরিডিট ওয়েলস। সিপিআই ও তার কাজের বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে যমুনা টেলিভিশনের ক্যামরা এড়িয়ে যান তিনি।

মিয়ানমার সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সিপিআই এনজিওটি তাদের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চালিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এজন্য নজরদারির অভাব ও লোকবল সংকটকে দুষছেন শরনার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশন।

শরনার্থী ও পুনর্বাসন কমিশনার আবুল কালাম বলেন, অনেকটা প্রতিকূল পরিস্থিতে কাজ করতে হয় আমাদের। গোয়েন্দা সংস্থা ও নিরাপত্তা বাহিনীর তথ্যের ওপর নির্ভর করে কাজ করতে হয়।

Exit mobile version