Site icon Jamuna Television

বাঞ্ছারামপুরে মালদ্বীপ প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে মালদ্বীপ প্রবাসী আপন মিয়ার স্ত্রী সাকিনা আক্তার (২৫) এর শশুর বাড়ির লোকজন মারধর করে বিষপানে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সাকিনার পরিবারের অভিযোগ শশুর-শাশুড়ি ও দুই ঝা মিলে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে স্বামীর পরিবারের অভিযোগ সাকিনা নিজেই কীটনাশক ট্যাবলেট (ক্যারির বড়ি) খেয়ে আত্মহত্যা করেছে।

রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আশ্রাফবাদ গ্রামের শশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যায় সাকিনার ছোট চাচা এরশাদ মিয়া বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি এজাহার জমা দেন। এতে সাকিনার শশুর আশ্রাফবাদ গ্রামের মালেক মিয়া, তার স্ত্রী হাসু বেগম, পুত্রবধু বিউটি বেগমকে আসামি করা হয়েছে।

নিহতের পরিবার ও থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার হোগলাকান্দি গ্রামের আলী মিয়ার মেয়ে সাকিনা আক্তার (২৫) এর সাথে একই উপজেলার আশ্রাফবাদ গ্রামের মালেক মিয়ার ছেলে আপন মিয়ার সাথে ২০১৫ সালের পারিবারিকভাবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। তখন ছেলেকে উপহার বাবদ নগদ ৩ লাখ টাকা ও দেড় বড়ি স্বর্ণালঙ্গার দেওয়া হয়। বিয়ের পর খাদিজা আক্তার (৩ বছর) ও আয়েশা আক্তার (৮ মাস) নামে দুই কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ২০১৮ সালের শশুর বাড়ির লোকজন ২ লাখ টাকা দিয়ে আপনকে মালদ্বীপ পাঠান। মালদ্বীপ যাওয়ার পর শশুরের কাছ থেকে আরো ১ লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিতে শশুর অপারগতা প্রকাশ করলে সাকিনার শশুর মালেক মিয়া, শাশুড়ি হাসু বেগম ও ঝা বিউটি বেগম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন।

এই ব্যাপারে সাকিনার মা সোকেনা বেগম বলেন গতকাল বিকেলে দুই ঝালে আমার মেয়েরে আমার বাড়ি থেকে আনছে। তহন আমার মেয়ে হাশি-খুশি ছিল। আমার মেয়েরে শশুর বাড়ির লোকজন মেরে ফেলছে।”

এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাকিনার শশুর মালেক মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গতকাল বিকালে সাকিনাকে বাবার বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আনছি (এনেছি)। রাতে খাওয়া-দাওয়া করে পাশের রুমে সাকিনা ঘুমায় ছিল, পরে আমার আরেক ছেলের বউ বিউটি দেখতে পায় সাকিনা বমি করতেছে। পরে আমরা গিয়া দেখি পাশেই ক্যারির বড়ি খাইছে। সাথে সাথে রাত ১০ টার দিকে বাঞ্ছারামপুর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসি। তখনি ওয়াশ করার পর মারা গেছে।

এই ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য আজকে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাঠিয়ে দিয়েছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

Exit mobile version