Site icon Jamuna Television

তাহেরীর বিরুদ্ধে করা মামলা খারিজ

মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে বক্তা ও দাওয়াতে ইমানি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মুফতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন আত-তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন মামলা খারিজের আদেশ দেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার আবেদনকারী ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল।

তিনি বলেন, তাহেরীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন দুদিন অপেক্ষমান রেখে আজ খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

রোববার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনাল আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলার আবেদন করেছিলেন আইনজীবী ইব্রাহিম খলিল। ধর্মীয় অনুভূতি ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত সৃষ্টির অভিযোগে এ মামলার আবেদন করা হয়েছিল।

রোববার বেলা পৌনে ২টায় আদালতের পেশকার মামলাটি বিচারকের সামনে উপস্থাপন করেন। এর পর বিচারক ফৌজদারি কার্যবিধির ২০০ ধারা মোতাবেক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

জবানবন্দিতে বাদী বলেন, ‘৩১ আগস্ট সকাল ১০টায় আমি চেম্বারে এসে দেখি মেঘনা টিভি সিএম নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে ওয়াজে ইসলামকে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। সেই ওয়াজ করছিলেন মুফতি গিয়াস উদ্দিন তাহেরী। ওয়াজে তাহেরী বলেন, ‘খান, ঢেলে দেই,’ যা সম্পূর্ণ অশ্লীল শব্দ।

বাদী বলেন, ‘চিশতি বিডি নামের আরেকটি ইউটিউব চ্যানেলে তাহেরী বলেছেন, ‘কিছু কিছু ইউটিউবার ধান্ধাবাজ।’

বাদী বলেন, এ ছাড়া আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, আসামি একটি ওয়াজে বলেন, ‘ইউনিভার্সিটির কিছু মাইয়া আছে। হেরা মডেলিং করে। তোমরার কপালে বেহেশত নেই।’

বাদী বলেন, বিজ্ঞ আদালত আসামির এ বক্তব্য গোটা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। কে বেহেশতে যাবে আর কে যাবে না, সেটি একমাত্র ধর্ম অনুযায়ী আল্লাহই জানেন।

বাদী আরও বলেন, তাহেরীর ‘বসেন বসেন বইসা যান, ঢেলে দেই’ এসব বাক্য ওয়াজে ব্যবহার করে তিনি ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ করেছেন। জিকিরের সময় এ রকম শব্দ উচ্চারণ ইসলামের কোথাও উল্লেখ নেই।

ইসলামের রীতিনীতি অনুযায়ী তাহেরীর এসব কর্মকাণ্ড মুনাফেকির শামিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তাহেরী কোরআন ও হাদিস অবমাননা করেছেন বলেও দাবি করেন মামলার বাদী ইব্রাহিম।

Exit mobile version