Site icon Jamuna Television

মনোহরদীতে কিশোরীকে ধর্ষণ, ধর্ষক কারাগারে

প্রতীকী ছবি।

নরসিংদী প্রতিনিধি :

নরসিংদীর মনোহরদীতে ১৪ বছরের এক কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে ধর্ষণের বিষয়ে কাউকে জানালে কিশোরীকে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয় হয়।

বিষয়টি জানাজানি হলে দেড় লক্ষ টাকায় রফাদফার চেষ্টা চালায় ধর্ষক। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে মঙ্গলবার ধর্ষক দুলাল মিয়াকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

অভিযুক্ত ধর্ষক দুলাল মিয়া (৬৫) বড়চাপা ইউনিয়নের বীর মাইজদিয়া গ্রামে আব্দুল জব্বারের ছেলে।

নির্যাতিতার পারিবারিক সূত্রে জানাজায়, গত প্রায় ৩ মাস পূর্বে বয়বৃদ্ধ দুলাল মিয়া পানি খাওয়ার নাম করে তাদের বাড়িতে যায়। সে সময় ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন কৃষি কাজের জন্য বাড়ির বাইরে ছিলো। বাড়িতে একা পেয়ে দুলাল মিয়া কিশোরীটিকে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের বিষয় কাউকে জানালে কিশোরীকে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। জীবন বাঁচাতে ধর্ষিতা কিশোরী কাউকে কিছু বলেনি। কিন্তু কয়েক মাস পর ধর্ষিতা কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। তখন এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হয়। এরই মধ্যে চতুর ধর্ষক বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট শরণাপন্ন হয়। একই সাথে ঘটনা ধামাচাপা দিতে দেড় লক্ষ টাকা উৎকোচ দেয়ার প্রস্তাব দেয়। পরে ইউপি ইউপি চেয়ারম্যান তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার বাবা বাদি হয়ে মনোহরদী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষিতা কিশোরীটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর দুলাল মিয়াকে আদালতে মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

Exit mobile version