Site icon Jamuna Television

‘রশিদের জন্য এক ঘণ্টাই যথেষ্ট’

সেদিন মাত্র টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পাওয়া আফগানিস্তানই যেন চোখে আঙ্গুল দিয়ে টেস্ট খেলার কায়দা-কানুন দেখিয়ে দিলো টাইগারদের। আর মাত্র চার উইকেট নিতে পারলেই জয়ের আনন্দে মাতবে রশিদ খানের দল। টাইগার ব্যাটসম্যানরা প্রতিরোধের দেয়াল গড়তে না পারলেও বাধ সেধেছে বৃষ্টি। দুপুর ১টার পর কয়েক মিনিট বল মাঠে গড়ালেও বৃষ্টি বাগড়ায় আবার বন্ধ হয়ে যায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান টেস্ট।

বৃষ্টি এখন বাংলাদেশের জন্য আর্শীবাদ। এদিকে আকাশের দিকে ছাতা মাথায় আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। রোববার বিকাল থেকেই চট্টগ্রামের আকাশে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ছিল। চতুর্থ দিনের প্রায় চার ঘণ্টাই নষ্ট হয়েছে বৃষ্টির কারণে। ৫টা ৪০ পর্যন্ত খেলা হওয়ার কথা থাকলেও অনেক আগেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুই দলকে।

আজ সোমবারও ম্যাচের পঞ্চম দিনে সেই বৃষ্টি একাই খেলছে। সাকিব বাহিনী বৃষ্টিবিলাসে মেতে থাকলেও বৃষ্টি কখন থামবে সে আশায় নখ কামড়াচ্ছেন আফগানরা। আজ নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ দল মাঠে না এলেও আফগানিস্তানের পুরো দলকে দেখা গেছে মাঠে। কয়েকবার ছাতা মাথায় ড্রেসিংরুম থেকে বেরিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছটফট করতে দেখা গেছে রশিদ খানকে। তা দেখেই আফগানিস্তান দলের স্যোশাল মিডিয়া ম্যানেজার সৈয়দ হযরত সাদাতের কাছে প্রশ্ন ছুঁড়েছেন এক সাংবাদিক, বৃষ্টি নিয়ে এই মুহূর্তে রশিদ খান কী ভাবছেন?

সৈয়দ সাদত জানান, রশিদ খুব আক্রমণাত্মক খেলোয়াড়। চ্যালেঞ্জ খুব ভালোবাসে ও। বৃষ্টিতে খেলা ভেস্তে যাক তা কখনই চান না তিনি। তাই ভীষণ হতাশ তিনি। রশিদ বলেছেন, এক ঘণ্টা পেলেই যথেষ্ট। তাহলেই ম্যাচ জিততে পারব আমরা। একটা সেশন হলেই আমাদের চলত।

আফসোস হলো, ১৯ বছর ধরে টেস্ট খেলা বাংলাদেশ নিজেদের মাটিতেই ম্যাচ বাঁচাতে প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে আছে। অন্যথায়, পরাজয় যেন মেনেই নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। আর মাত্র দ্বিতীয় টেস্টেই ছড়ি ঘোরাচ্ছে নবাগত আফগানরা।

চট্টগ্রামে আফগানদের ৩৪২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০৫ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। ১৩৭ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬০ রান করে অলআউট হয় রশিদ খানের নেতৃত্বাধীন আফগানিস্তান। ৩৯৮ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে নেমে রোববার চতুর্থ দিনে ১৩৬ রান সংগ্রহ করতেই ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে জিততে হলে বাংলাদেশের আরও প্রয়োজন ২৬২ রান, হাতে রয়েছে চার উইকেট। চতুর্থ দিন শেষে অপরাজিত রয়েছেন সাকিব ও সৌম্য। কিন্তু তাতেও কি ম্যাচ বাঁচানোর আশা করা যায়? রশিদের আফসোসই বরং অনেক বেশি বাস্তবসম্মত।

Exit mobile version