Site icon Jamuna Television

চতুর্থবারের মতো শীর্ষে অক্সফোর্ড, এগোচ্ছে চীন

বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় চতুর্থবারের মতো শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড। এর পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।

তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই সবচেয়ে বেশি প্রভাব বিস্তার করে গেছে। শীর্ষ ১০টির মধ্যে সাতটি এবং দুশটির মধ্যে ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয় তাদের। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের খবরে এসব তথ্য জানা গেছে।

উচ্চশিক্ষায় চীনের ব্যাপক বিনিয়োগও সুফল বয়ে আনছে। প্রায় এক হাজার ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিংয়ে গত বছরের চেয়ে তাদের আরও ৯টি জায়গা করে নিয়েছে।

উচ্চশিক্ষায় এই প্রথম যেকোনো দেশের তুলনায় সবচেয়ে বেশি অর্থ খরচ করছে চীন। লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের কর্মকর্তা ফিল ব্যাটি বলেন, সংস্কার ও জোরালো বিনিয়োগের কারণে গত কয়েক দশকে মহাপ্রাচীরের দেশটির উত্থান ঘটছে।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের অংশীদারিত্বে বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করেছে টাইমস হায়ার এডুকেশন। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ র‌্যাংকিং তালিকা প্রকাশ করেছিল তারা।

বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাংকিং তালিকা প্রকাশে তাদের গবেষণা ও একাডেমিক উদ্ধৃতিকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।

এ ছাড়া পণ্ডিতরা যে গুরুত্ব বহন করছেন, সেই খ্যাতিও হিসাবে ধরে এই ৯২টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের এই র‌্যাংকিং তালিকা তৈরি করা হয়েছে।

এতে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবার তিন নম্বরে পড়ে গেছে। এ ছাড়া মার্কিন স্ট্যানফোর্ড চতুর্থ, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি পঞ্চম, প্রিন্সটন ষষ্ঠ, হার্ভার্ড সপ্তম, ইয়েল অষ্টম, সিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় নবম ও ইমপেরিয়াল কলেজ লন্ডন দশমে জায়গা করে নিয়েছে।

মহাদেশগুলোর ভেতর ইউরোপীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এগিয়ে রয়েছে। শীর্ষ ২০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধেকই তাদের। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যেরও ২৮টি ও জার্মানির ২৩টি রয়েছে।

তবে ক্ষমতার ভারসাম্য এশিয়ার দিকে ঝুঁকেছে। শীর্ষ দুশর মধ্যে এশিয়ার ২৪টি। যেখানে চীনেরই রয়েছে সাতটি। গত বছরের মতো তাদের কিংহুয়া ২৩ ও পেকিং বিশ্ববিদ্যালয় ২৪ নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে।

গত পাঁচ বছরে বিশ্বের শীর্ষ ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ৯টি বাদ পড়েছে এবং চীনের পাঁচটি যুক্ত হয়েছে।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লুইজি রিচার্ডসন বলেন, অক্সফোর্ডের সফলতার অন্যতম কারণ হলো বিশ্বের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে গবেষণা সহযোগিতা। তাই ব্রেক্সিট আমাদের জন্য যা কিছুই আনুক না কেন আমরা এই সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীরতর ও বৃদ্ধি করব, এটাই আমাদের সংকল্প।

Exit mobile version