Site icon Jamuna Television

ধস নামালো জিম্বাবুয়ে!

জিম্বাবুয়ের অপেক্ষাকৃত দুর্বল বোলিং আক্রমণেই বেসামাল বাংলাদেশের টপ অর্ডার। প্রথম চার ওভারে ৩০ রান ওঠাতেই হাওয়া চার উইকেট!

একে একে বিদায় হয়েছেন লিটন, সৌম্য, মুশফিক ও সাকিব। জারভিস আর চাতারা মিলে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। মিস ফিল্ডিং না হলে উইকেট আরও হারাতে হতো টাইগারদের।

এর আগে ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং প্রথমে ধসে পড়লেও শেষমেশ সম্মানজনক স্কোরই গড়েছে তারা। ১৮ ওভারে ১৪৪ রান তুলেছে ৫ উইকেট হারিয়ে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিই মূলত বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে বাঁচায় জিম্বাবুয়ানদের।

বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৪৫ রান।

বাজে আবহাওয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে দেড় ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে খেলা। ম্যাচের দৈর্ঘ্যও কমিয়ে আনা হয় ১৮ ওভারে। আগে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছেন টো-টোয়েন্টিতে অভিষিক্ত স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

সাদা পোশাকের নিয়মিত খেলোয়াড় তাইজুল যেন প্রথম বলেই তার কার্যকারিতা প্রমাণের চেষ্টা করলেন। জিম্বাবুয়ের ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসেন তাইজুল। প্রথম বলেই জিম্বাবুয়ের ওপেনার ব্রেন্ডন টেলরকে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচে পরিণত করেন বাঁ হাতি এ স্পিনার।

সপ্তম ওভারে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন আরভিন (১১)। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের করা পরের ওভারেই হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করেন সাব্বির রহমান। মিড অফে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচটি নেন সাব্বির। ২৬ বলে ৩৪ রান করে ফিরেছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। নবম ওভারে (৮.১ ওভার) মোসাদ্দেক হোসেনের করা প্রথম বলেই ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শন উইলিয়ামস। দশম ওভারে অযথা দৌড় দিয়ে সাকিব–মোস্তাফিজের যৌথ প্রযোজনায় রান আউট হন টিমিচেন মারুমা।

তবে সাকিবের এক ওভারে ৩০ রান তুলে জিম্বাবুয়েকে এগিয়ে দেন বার্ল। তিনি ৩২ বলে ৪ ছক্কার মারে ৫৭ রান তুলেন।

২০১৯ সালে এটাই বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হারের লজ্জা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে এই সিরিজ জয়ের বিকল্প নেই সাকিব বাহিনীর সামনে।

Exit mobile version