Site icon Jamuna Television

ডিসির দোহাই দিয়ে গণপূর্তের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করছে ডাচ-বাংলা ব্যাংক

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীতে গণপূর্ত বিভাগের সম্পত্তি দখল করে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ফার্স্ট ট্র্যাক নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগ কয়েকবার ওই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ ১৬ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজারকে কাজ বন্ধের জন্য গণপূর্ত বিভাগ থেকে নোটিশ দেয়া হলেও তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে এই স্থাপনা নির্মাণের ফলে শহরের সৌন্দর্য বিনষ্ট হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একটি নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ জুলাই পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী পটুয়াখালী ডাচ-বাংলা ব্যাংকের জন্য ডিসি কার্যালয় প্রাঙ্গণে এটিএম বুথ/ফার্স্ট ট্র্যাক স্থাপনের অনুমতি দেয়। কিন্তু যে স্থানে এটিএম বুথ/ফার্স্ট ট্র্যাক স্থাপন করা হচ্ছে করছেন সেটি মূলত পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নিজস্ব সম্পত্তি। এমনটাই দাবি করে পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগ কয়েকবার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হারুন অর রশিদ বলেন, পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের বরাত দিয়ে পটুয়াখালী ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে জমিতে এটিএম বুথ/ফার্স্ট ট্র্যাক নির্মাণ করছে সেটা ডিসির নয় আমাদের সম্পত্তি। আমি কাজ বন্ধ করার জন্য কয়েকবার বলা সত্ত্বেও তারা শোনেনি। তাই লিখিতভাবে সোমবার তাদের নোটিশ প্রদান করেছি।

এই নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন ডিসির নির্দেশে যে স্থানে নির্মাণ কাজ চলছে, সেটা শহরের সৌন্দর্য বিনষ্ট করার পাঁয়তারা ছাড়া কিছুই নয়।

এ প্রসঙ্গে পটুয়াখালী ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় যে জায়গা নির্ধারণ করে দিয়েছে, আমরা সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছি। গণপূর্ত বিভাগের মৌখিক নোটিশে কাজ বন্ধ করে দিলেও ডিসি কাজ চালিয়ে যেতে বলেছেন। আমরা কী করবো?

শহরের প্রাণকেন্দ্রে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে-এমন প্রসঙ্গে ওই এলাকার বাসিন্দা আতিকুল আলম, ফিরোজ হাওলাদার জানান, গণপূর্ত বিভাগের জমি দখল করে ডাচ-বাংলা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করছে তাতে শহরের সৌন্দর্য নষ্ট হবে। তা ছাড়া এই স্থানে স্থাপনা নির্মাণ করলে কতিপয় সুবিধাবাদী দখলবাজরা নির্দ্বিধায় বাকি জমিটুকু দখল করে নেবে এটা এড়ানো সুযোগ নাই।

আতিকুল আলম আরও বলেন- আমার বাসা এখানে, আমরা জানি এইটা গণপূর্তের সম্পত্তি, ডিসির নয়। কিন্তু ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে এটা ডিসির জায়গা।

এ প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ হেমায়েত উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, আমার কাছে পটুয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এসেছিলেন। আমি তাকে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে কথা বলতে বলেছি।

অপর‌দি‌কে জেলা মোঃ প্রশাসক মতিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আমি এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগের সাথে কথা বলবো।

Exit mobile version