Site icon Jamuna Television

শিক্ষকের যৌন নিপীড়নে অসুস্থ মাদরাসা ছাত্রী

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় শিক্ষকের দ্বারা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে এক মাদরাসা ছাত্রী। উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার একটি মহিলা মাদরাসার শিক্ষক শওকত হোসেন রিপনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে নিপীড়নের শিকার ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাদরাসাটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই আন নূর ইসলামিয়া মহিলা মাদরাসা ও এতিমখানার অভিযুক্ত শিক্ষক শওকত হোসেন রিপন এবং প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক আসমা বেগমসহ পরিচালনা কমিটির সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর গ্রামের প্রবাসী আবুল হোসেন সম্রাট প্রায় ৫ বছর আগে আন-নূর ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানা চালু করেন। বর্তমানে তার স্ত্রী আসমা আক্তার মাদরাসাটি পরিচালনা করছেন। শিশু শ্রেণি থেকে ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চলে ওই মাদরাসায়। সেখানে ১১ জন শিক্ষকের মধ্যে একজন পুরুষ শিক্ষক রয়েছেন।

মাদরাসাটিতে অধ্যয়নরত শতাধিক ছাত্রীর মধ্যে ৬০ জনই আবাসিক ছাত্রী। সোমবার সকালে হঠাৎ করে এক শিক্ষার্থী (১৪) অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে মাদরাসার অন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষক শওকত হোসেন রিপনের অপকর্মের কথা জানতে পেরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।

আখাউড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আরিফুল আমিন জানান, কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই শিক্ষক ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিতেন। এ ঘটনায় শিক্ষক শওকত হোসেন রিপন ও মাদরাসার পরিচালক আসমা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

Exit mobile version