Site icon Jamuna Television

শামীমের ‘ডেরায়’ ভিড় লেগে থাকত সুন্দরীদের

বেপরোয়া টেন্ডারবাজি ও ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে যুবলীগ নেতা জি কে শামীমকে গ্রেফতারের পর অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। বড় বড় টেন্ডার বাগিয়ে আনতে নানা কৌশল ব্যবহার করেছেন শামীম। বস্তাভর্তি টাকা দিতেন প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে। তাতেও কাজ না হলে সুন্দরীদের ফাঁদ পাততেন। এ কারণে তার দরবারে সারাক্ষণ সুন্দরী তরুণীদের আনাঘুনা লেগেই থাকত।

জি কে শামীম সরকারি প্রায় সব টেন্ডারে একা ভাগ বসাতেন। এজন্য যাকে যা দিয়ে সন্তুষ্ট করা যেত সেটিই অফার করতেন টেন্ডারবাজ শামীম। এক্ষেত্রে তার হাতিয়ার ছিল উৎকৃষ্ট মানের উপঢৌকন, দামি প্রসাদনী, কাড়ি কাড়ি টাকা এবং সুন্দরী তরুণী। শামীম টেন্ডার বাগাতে সুন্দরী নারীদের টোপ হিসেবে ব্যবহার করতেন। তার এই টোপ গিলতে শামীমের ডেরায় অনেক ভিআইপির আনাগোনাও ছিল বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে।

নাটক, সিনেমার পরিচিত মুখ, নায়িকা ও মডেলকে মনোরঞ্জন থেকে শুরু করে টেন্ডার বাগিয়ে নিতে ব্যবহার করতেন শামীম। উচ্চপদস্থ বিভিন্ন কর্মকর্তার নিয়মিত আবদার ছিল, শুধু টাকা দিলেই হবে না, চাই উঠতি বয়সের নায়িকার সঙ্গ। কর্মকর্তাদের কাছে দীর্ঘ তালিকা পাঠাতেন শামীম।

ছবিসহ সেই তালিকা দেখেই বাছাই করে নিতেন মডেল, নায়িকাদের। একইভাবে প্রভাবশালী নেতাদের খুশি করতেও মডেল, নায়িকাদের পাঠানো হতো ফ্ল্যাটে-তারকা হোটেলে। দেশের বাইরেও নিয়ে যাওয়া হতো তাদের।

বিনিময়ে অল্প দিনেই নায়িকা থেকে অনেকে প্রযোজক হয়েছেন। মালিক হয়েছেন কাঁড়ি কাঁড়ি টাকার। হাঁকিয়ে বেড়াচ্ছেন দামি দামি গাড়ি। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের কাছে এ বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে জি কে শামীম ও যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

শামীম জানান, অনেকেই টাকার সঙ্গে নারীসঙ্গ চাইত। পাঁচ তারকা হোটেলে কক্ষের ব্যবস্থাও করতে হতো। শামীমের সঙ্গে সখ্য অর্ধশতাধিক সুন্দরী তরুণীর। এর মধ্যে এক ডজনেরও বেশি পরিচিত নায়িকা ও মডেল। টেন্ডার বাগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নেতাদের কাছে পাঠানো হতো তাদের।

অপর একটি সূত্র জানায়, জি কে শামীমের অফিসে আনাগোনা ছিল অনেক ভিআইপির। ক্ষমতাসীন দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও নানা তদবির নিয়ে আসতেন। ওইসব ভিআইপি সেখানে যাওয়ার কারণে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। শুধু ভিআইপিরা নয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তার অবাধ বিচরণ ছিল তার ডেরায়।

গুলশান নিকেতন আবাসিক এলাকা হওয়ার পরও ক্ষমতার জোরে তিনি একটি পুরো বাসাকে তার আবাসন কোম্পানি জিকে বিল্ডার্সের আলিশান অফিস বানিয়েছিলেন।

সূত্র: যুগান্তর

Exit mobile version