Site icon Jamuna Television

চোরের খনিতে এসে দুর্নীতিবাজদের শাসিয়ে গেলেন মন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

অনিয়ম-দুর্নীতির আখড়া হিসেবে পরিচিত নারায়ণগঞ্জের ড্রেজার পরিদপ্তর পরিদর্শন করে নির্বাহী প্রকৌশলী থেকে শুরু করে কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে সাবধান করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল অব জাহিদ ফারুক।

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ শহরের কিল্লারপুল এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন ড্রেজার পরিদপ্তরে ওয়ার্কশপ কারখানা আমদানি ড্রেজার সহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পরিদর্শন করেন।

এ সময় ড্রেজার পরিদপ্তরের কার্যালয়, ওয়ার্কশপ, স্টোররুম, জাহাজ, ড্রেজার পরিদর্শনকালে প্রতিমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েন দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা।

সকাল পৌনে ১০ টার দিকে ড্রেজার পরিদপ্তরে প্রকৌশলীদের সঙ্গে মিটিংয়ে বসেন প্রতিমন্ত্রী। সভায় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো: জসিমউদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুভাস চন্দ্র সাহা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডিজি মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত ডিজি চীফ ইঞ্জিনিয়ার আজিজুল হক, আব্দুল ওহাব, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, সেলিম সরকারসহ বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্বরত প্রকৌশলীরা।

এসময় বিভিন্ন নদী খনন প্রকল্পে নিয়োজিত ড্রেজার ও কয়েকটি প্রকল্পের ড্রেজার ক্রয় নিয়ে প্রশ্ন তোলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি দায়িত্বরত প্রকৌশলীদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নেদারল্যান্ডস সরকার ৭৪ সালে যে ড্রেজারগুলো উপহার দিয়েছিল সেগুলো এখনো চলছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে যেসকল ড্রেজার নতুন কেনা হয়েছে সেগুলো কেন কিছুদিন পর বিকল হয়ে যাচ্ছে। নতুন গাড়ি কিংবা রিকন্ডিশন গাড়ি ক্রয় করা হলেও তো ৫ বছর ওয়ার্কশপে পাঠাতে হয়না। তাহলে আমাদের নতুন কেনা ড্রেজার কেন ওয়ার্কশপে পাঠাতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এত লোক বিদেশে ট্রেনিংয়ে যাচ্ছে অথচ মেকানিকাল বিভাগের প্রকৌশলীদের কেন ট্রেনিংয়ে পাঠানো হচ্ছে না।

এসময় মন্ত্রী ১২৯২ কোটি ২৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশের নদী খননের জন্য ড্রেজার ও যন্ত্রপাতি ক্রয় প্রকল্পটির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। প্রকল্পটিতে ২১টি ড্রেজার, ১২ টি টাগবোট, ২৩ টি বিভিন্ন ধরনের এক্সাভেটর (ভেকু), ৩টি ফর্কলিফট, ৫টি বার্জ, ২টি স্পীড বোট কেনার কথা ছিল। অথচ ৯টি ড্রেজার, ৩টি টাগবোট, ৫টি বিভিন্ন ধরনের এক্সাভেটর (ভেকু), ৩টি ফর্কলিফট ক্রয় করতেই ৬৫১ কোটি ৫২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা ব্যায় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ৯টি ড্রেজার ক্রয় করতেই যদি প্রকল্পটির অর্ধেক অর্থ ব্যয় হয় তাহলে বাকী ১২টি ড্রেজারসহ অন্যান্য সামগ্রী কিভাবে ক্রয় করা সম্ভব হবে। এই প্রকল্প নিয়ে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই প্রশ্ন তুলবেন।

এছাড়া ৫ টি নতুন ড্রেজার বেইজ নির্মাণের যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের এক সুতা জমি বেদখল হলে কিংবা নিজের সম্পদ নষ্ট হলে যেমন কষ্ট লাগে তেমনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজার পরিদপ্তরের সম্পদ বিনষ্ট হতে দেয়া যাবেনা। এই সম্পদকেও নিজের সম্পদ বলেই মনে করতে হবে।

মন্ত্রীর কাছে ড্রেজারের ২০৬ জন অস্থায়ী শ্রমিক চাকুরী স্থায়ী করণের দাবি জানান। পরে মন্ত্রী পাউবোর উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের মন্ত্রী বলেন, যারা দীঘর্ঘদিন কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে তাদেরকে নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

পরে মন্ত্রী ড্রেজার পরিদপ্তরের কার্যালয়, ওয়ার্কশপ, স্টোররুম, জাহাজ, ড্রেজার পরিদর্শন করেন। এসময় মন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নুরুদ্দিন আহমেদ, নির্বাহী প্রকৌশলী সৈকত বিশ্বাসসহ কয়েকজন কর্মকর্তা। পরে গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন,

Exit mobile version