Site icon Jamuna Television

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে পুতিনের নাটকীয় ঘোষণা

আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে নাটকীয় ঘোষণা দিলেন ভ্লাদিমির পুতিন। নিজ দল থেকে নয় বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন তিনি। এজন্য সুশীল সমাজের সমর্থন চেয়েছেন পুতিন। বার্ষিক সংবাদ সম্মলনে রুশ প্রেসিডেন্ট জানান, অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষ্যেই তার এ সিদ্ধান্ত। যদিও বিরোধী দলের দাবী, সবই লোকদেখানো।

২০১৮ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন আগেই। তবে বৃহস্পতিবার বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এলো অপ্রত্যাশিত ঘোষণা। নিজ দল ইউনাইটেড রাশিয়া পার্টির টিকেট নিয়ে নয় বরং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে চান ভ্লাদিমির পুতিন।

তিনি বলেন, একটা অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কামনা করি আমি। সে জন্য সবকিছুই করতে প্রস্তুত আছি। আর সেকারণেই দলীয়ভাবে নয়, একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বো। আমার বিশ্বাস যারা আমার নীতি এবং আদর্শকে সমর্থন করেন তারাই আমাকে নির্বাচিত করবেন।

জনমত জরিপ বলছে, যে পরিচয়েই প্রার্থী হন, পুতিনের জয় নিয়ে সন্দেহ নেই। অনেক রুশ মনে করেন, সিরিয়া ও ইউক্রেনের ভূমিকায় বিশ্বমঞ্চে মস্কোর অবস্থান জোরালো করেছেন পুতিন।

এক ভোটার বলছিলেন, অবশ্যই আমরা পুতিনকে সমর্থন দেবো। তার কারণেই বিশ্বের বুকে এখনও শক্তিশালী অবস্থান নিয়ে আছে রাশিয়া। অন্যজনের মতে, গত দেড়দশক ধরে যেভাবে রাশিয়াকে সামলেছেন পুতিন। অন্য কোনো নেতা হলে এটা সেভাবে পারতেন না। ইউক্রেন ইস্যুসহ বড় বড় সংকট একজন যোগ্য নেতার মতই মোকাবেলা করেছেন তিনি।

যদিও বিরোধীদের দাবি, নির্বাচনের নামে মূলত একনায়কতন্ত্রই প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন পুতিন। স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ার ঘোষণাকে লোক দেখানো হিসেবে অভিহিত করছেন তারা। তবে, এ মুহুর্তে পুতিনের কোনো বিকল্পও দেখছেন না বিশ্লেষকরা।

প্রেসিডেন্ট প্রার্থী অ্যালেক্সেই নাভালনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি যে লঙ্ঘিত হচ্ছে সেটা প্রেসিডেন্ট পুতিনের কার্যক্রমেই পরিস্কারভাবে ফুটে উঠেছে। প্রার্থী হিসেবে কোনো ধরণের গনসংযোগের সাথে সম্পৃক্ততা নেই তার। এর কারণ, পুতিনের পক্ষে কাজ করছে প্রশাসন এবং রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম।

রুম রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাশা লিপম্যান বলেন, পুতিন তার ইমেজকে এমনভাবে গড়ে তুলেছেন যাতে মনে হয়, তার বিকল্প অন্য কেউ নেই। গেল ১৭ বছর তার শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্ধী গড়ে ওঠে নি, বিভিন্ন সংকটে এমন কেউ ছিলো না যিনি পুতিনের সমালোচনা করবেন। আবার এটাও সত্য যে, পুতিনও কাউকে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ দেননি।

Exit mobile version