Site icon Jamuna Television

শিক্ষকের বেত্রাঘাতে স্কুলছাত্র হাসপাতালে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আবদুল্লাহ আল জিয়াদকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের শরীরচর্চা শিক্ষক মোঃ মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে। অসুস্থ জিয়াদকে বুধবার সকালে গলাচিপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই ছাত্রের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বেতের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছাত্রের বাবা মোহাম্মদ মুজাম্মেল হাওলাদার একই বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। এ বিষয়ে মুজাম্মেল হাওলাদার সহকর্মী শিক্ষকের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, আবদুল্লাহ আল জিয়াদ এ বছর জেএসসি পরীক্ষার্থী। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে ক্লাস চলাকালীন আকস্মিকভাবে শরীরচর্চা শিক্ষক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন হাতে বেত নিয়ে ক্লাসে প্রবেশ করেন। কোন প্রশ্ন না করেই তিনি জিয়াদকে বেধড়ক বেত্রাঘাত শুরু করেন। জিয়াদের চিৎকারে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ক্লাসে ছুটে এসে শিক্ষক মাইনুদ্দিনকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু এতেও মাইনুদ্দিন ক্ষান্ত হননি। এরপরেও স্কুলছাত্রকে বেত্রাঘাত করেন।

জিয়াদের বাবা মুজাম্মেল হাওলাদার অভিযোগ করেন, ক্লাস ভর্তি ছাত্রছাত্রীর মাঝে মারধর করায় তার ছেলে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। সে রাতে লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় জিয়াদকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মোঃ মাইনুদ্দিন বেত্রাঘাতের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ওই ছাত্রটি এক ছাত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিল। সহকর্মীর সন্তানকে নিজের সন্তান মনে করে সংশোধনের জন্য একটু মারধর করেছি।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসিরউদ্দিন নেছার বলেন, ঘটনাটি একটু বাড়াবাড়ি হয়েছে। তবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। আর কথিত ছাত্রী চিঠির বিষয়টি অস্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আক্তার মোর্শেদ বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

Exit mobile version