Site icon Jamuna Television

রাস্তার অবস্থা বেহাল, দুর্ভোগে যাত্রীরা

নগরীর ফরিদাবাদ আরসিন গেট রাস্তা বেহাল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা ও ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

তাই চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা আরসিন গেট, আইজিগেট ও ফরিদাবাদ পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কের।

আরসিন গেটের এ সড়ক ভেঙে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। খুব কষ্টে যানবাহন চলে। মানুষ আরও কষ্ট করে। বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমে যায়।

ছোটখাটো জলাশয়ে পরিণত হয়। কিন্তু চরম দুর্ভোগ সত্ত্বেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয়রা জানান, আরসিন গেট একটি অভিজাত আবাসিক এলাকা। এর পাশঘেঁষে রাস্তাটি পোস্তগোলা হয়ে সদরঘাট পর্যন্ত গেছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন বেহাল হয়ে পড়েছে।

এটি খুবই দুঃখজনক। এ পথে স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করে। অবর্ণনীয় দুর্ভোগের স্বীকার হচ্ছেন পথচারী ও যাত্রীরা।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রামিম, রাকিব এবং মণিষা বলেন, আমরা নিয়মিত এ পথে যাতায়াত করি। কতটা কষ্ট হয় বলে বোঝাতে পারব না।

রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে, গাড়ির ঝাঁকুনিতে অসুস্থ হতে হয়। ইসলামপুরের ব্যবসায়ী নারায়ণচন্দ্র রায় বলেন, আমার বাসা আরসিন গেট।

ছেলে পড়ে মুসলিম গভর্নমেন্ট স্কুলে। আমার ও ছেলের আসা-যাওয়া এ পথেই। সীমাহীন দুর্ভোগ নিয়ে পথ চলতে হয়।

আশপাশের দোকানদার ও গাড়িচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খানাখন্দে ভরা রাস্তার কারণে প্রায় ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে।

মিজান নামে এক লেগুনাচালক বলেন, রাস্তায় ভাঙা এত বেশি যে, গাড়ি চালানোই দায়। রিকশা চালানো আরও কষ্ট। প্রায়ই ভাঙায় পড়ে রিকশা উল্টে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এতে মারাত্মক আহত হয় যাত্রীরা। বৃষ্টি হলে এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটে। তখন খানাখন্দগুলো নোংরা পানিতে ভরে থাকে। অনুমান করা যায় না কত বড় গর্ত। এতে রিকশা কিংবা লেগুনা গর্তে পড়ে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

আরসিন গেটের এ রাস্তাটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত।

রাস্তাটির সংস্কারের বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর নাসির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, রাস্তাঘাটের বিষয় এখন আর কাউন্সিলরদের হাতে থাকে না। পুরো দায়িত্ব মেয়র মহোদয়ের মাধ্যমে টেন্ডার হয়ে কাজ হয়।

এখানে আমাদের বলার বা করার কিছু নেই। আমরা জানিও না কারা টেন্ডার নেয়, কারা কাজ করে? কবে কাজ শুরু হয়, কবে বন্ধ হয় এসব বিষয়েও আমরা কিছুই জানি না।

Exit mobile version