Site icon Jamuna Television

‘ভাইয়া সে সময়ও ফেসবুকে অ্যাকটিভ ছিল’

একমাত্র ভাইকে হারিয়ে আবরারের ফাহাদ ছোটভাই আবরার ফাইয়াজ যেন এ পৃথিবীর নির্মমতাই টের পাচ্ছেন। ফাইয়াজ জানান, সেদিন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ভাইয়ার এক বন্ধু বুয়েট থেকে প্রথমে ফোন দিয়ে বলেন, সে মারাত্মক অসুস্থ। ঢাকায় আমাদের কোনো আত্মীয়-স্বজন থাকলে তাদের দ্রুত মেডিকেলে পাঠাতে বলেন। আমরা হতবাক হয়ে যাই। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করে জানানো হয় ভাইয়া মারা গেছে। মারা যাওয়ার খবরে পুরো পরিবারের অবস্থা কী হতে পারে?

ফাইয়াজ বলেন, ভাইয়ার সেমিস্টার পরীক্ষার কারণে বাসায় ছুটি না কাটিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া থেকে বাসে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। বিকেল ৫টায় পৌঁছানোর পর সে মোবাইলে কল করে। এরপর থেকে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। পরে ভাইয়ার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও সে ধরেনি।

ফাইয়াজ আরও জানান, ভাইয়ার মেসেঞ্জার অন দেখে সেখানে রিং দেই। রিং হলেও ভাইয়া ধরেনি। ফলে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। ফোন না ধরায় আমি ফেসবুকের মেসেঞ্জারে ভাইয়াকে নক করি। ভাইয়া সে সময়ও ফেসবুকে অ্যাকটিভ ছিল, তবে সাড়া দেয়নি।

রোববার রাতে বুয়েটের শের-ই বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষের ভেতর ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে হলের দোতলা ও একতলার মাঝ খানের সিঁড়ির ওপর তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। যে কক্ষটিতে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ওই কক্ষটিতে ছাত্রলীগের নেতারা থাকতেন। এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ আর ১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে ছাত্রলীগ।

Exit mobile version