Site icon Jamuna Television

আবরারের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও খুনিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়নি প্রোভোস্ট

আবরারের মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও, হল প্রভোস্ট জাফর ইকবাল খান ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালক মিজানুর রহমান খুনিদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো ব্যবস্থাই নেননি। সিসিটিভির ফুটেজে ধরা পড়েছে এই দৃশ্য। জানা গেছে, তিন দফায়, বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করা হয় আবরারকে। এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নিয়েছিলো ছয় ঘাতক।

শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে রাত নয়টার দিকে শুরু হয় মারপিট। নেতৃত্বে দেয়া ইফতি মাহবুব সকাল। তিন দফা পেটানো হয় আবরারকে।

কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, মারধর শুরু করেন বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন। পরে যোগ দেন আরও পাঁচজন। এরা হলেন- অনিক, সকাল, জিওন, মনির ও মোজাহিদুল।

প্রথম দফা মারপিট চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। এরপর রাতের খাবার খাওয়ানো হয় আবরারকে। খাওয়ানো হয়, ব্যাথানাশক ট্যাবলেট, দেওয়া হয় মলম।

দ্বিতীয় দফায় মারপিট শুরু করেন অনিক, ছিলেন সবচেয়ে মারমুখী। আবরারের শরীরের উপর ভাঙেন ক্রিকেট স্ট্যাম্প। মদ্যপ অনিক আরেকটি স্টাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর চালিয়ে যান।

নিম্তেজ হয়ে পড়েন আবরার। তখন মধ্যরাত। বার বার বমি করেন। ঘাবড়ে যান ঘাতকরা। আহত শরীরটাকে এবার টেনে বড় ভাই মুন্নার কক্ষে নেন তারা।

সূত্র বলছে, তৃতীয় দফার মারপিট শুরু মুন্নার কক্ষেই। ছয় জনের পিটুনিতে এবার লুটিয়ে পড়ে আবরার। এরপর নীথর দেহটিকে টেনে হিচেড় নিচে নামানোর চেষ্টা করেন ঘাতকরা। মাঝ সিড়িতে যেতেই তারা বুঝতে পারেন আবরার মারা গেছে। সেখানেই নিজেদের হলের ছোট ভাইয়ের মরদেহটি রেখে পালিয়ে যায় ঘাতকরা। আবরাতের নীথর দেহটি পড়ে থাকে সিড়িতে।

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হত্যার মোটিভ নিয়ে তদন্ত চলছে। বিশ্লেষণ করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরার ছবি।

এ হত্যার পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে আছে কিনা সেটিও পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দা পুলিশ।

Exit mobile version