Site icon Jamuna Television

আবরারকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে মারধর করা সেই রবিন জামায়াত পরিবারের সন্তান

বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে ‘শিবির’ ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করেন বুয়েট ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক ‘মেহেদী হাসান রবিন’।

যমুনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, আবরারের বিরুদ্ধে শিবিরের রাজনীতির ট্যাগ দেয়া রবিনের পরিবারের সদস্যরাই জামায়াত-শিবিরের পদধারী নেতা। জামায়াতের হয়ে নির্বাচন আর মামলা আছে পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই পরিবারেই, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের চর্চা করে বেড়ে উঠে রবিন। অথচ মেনে নিতে পারেনি আবরারের স্বাধীন মত প্রকাশ।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত ফুটেজ আর জবানবন্দিতে তদন্ত কর্মকর্তারা জানতে পারেন আবরার ফাহাদকে নির্যাতনের প্রথম আঘাতটি করে মেহেদী হাসান রবিন। ফাহাদের মৃত্যুর পর পালিয়ে যাওয়া বুয়েট ছাত্রলীগের এই বহিস্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার গ্রেফতারের খবর জানার পর থেকেই গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর পবায় প্রতিবেশী আর স্বজনদের ভিড়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতে সদ্য যোগ দিলেও রবিনের পরিবারের সদস্যরা জামায়াত ও শিবিরের রাজনীতিতে পুরনো মুখ।

অভিযুক্ত রবিনের বাবা মাকসুদ আলী জানান, রবিনের দাদা মমতাজ উদ্দিন ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল জামায়াতের নেতা। দাড়িপাল্লার প্রার্থী হয়ে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় নির্বাচনে। চাচা ইমরান আলী জড়িত শিবিরের রাজনীতির সাথে। নাশকতার ৪টি মামলা আছে তার বিরুদ্ধে।

অভিযুক্ত রবিনের বাবা মাকসুদ আলী আরও জানান, বুয়েটে ভর্তির পর শাখা ছাত্রলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক রাসেলের উৎসাহে রবিন নাম লেখান ছাত্র রাজনীতিতে। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে যদি নির্দোষ হয় তবে আমি তার মুক্তি চাই আর যদি জড়িত থাক তাহলে আইন অনুযায়ী সে সাজা পাবে তা আমাদের মেনে নিতে হবে।

Exit mobile version