Site icon Jamuna Television

এক শর্তে বাংলাদেশিরাও পাবেন সৌদির ট্যুরিস্ট ভিসা

বিদেশিদের ভ্রমণ ভিসা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা গত মাসেই দিয়েছিলো সৌদি আরব। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সৌদি সরকার পর্যটন ভিসা (টুরিস্ট ভিসা) দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ভ্রমণ ভিসা দেয়ার মাধ্যমে তেলের বিকল্প হিসেবে দেশের অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে চায় দেশটি।

তবে প্রাথমিক তালিকায় মাত্র ৪৯ দেশের নাগরিকদের পর্যটন ভিসা দেয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। ওই তালিকায় বাংলাদেশের নাম নেই। বেশিরভাগই ইউরোপের দেশ, এবং এশিয়ার ধনী দেশগুলো স্থান পেয়েছে।

তবে অতি সম্প্রতি পর্যটকদের হার আরও বাড়াতে ৪৯ দেশের বাইরের দেশগুলোর নাগরিকদেরও পর্যটক ভিসা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। শুধু একটি শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। আর তা হলো ভ্রমণেচ্ছু পর্যটকের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা শেনজেন ভিসা থাকতে হবে। এই তিন দেশ ও অঞ্চলের বিজনেস বা ভ্রমণ ভিসা থাকলেই ৪৯ দেশের বাইরেও নাগরিকরা সৌদির পর্যটক ভিসা পাবেন।

গালফ নিউজ গতকাল রোববার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

গত মাসে পর্যটক ভিসা চালুর পর সৌদি মূখপাত্র বলেছিলেন, আমাদের রয়েছে ইউনেসকোর পাঁচটি বিশ্ব ঐতিহ্য (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট), আকর্ষণীয় সংস্কৃতি ও মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা বা স্থানগুলো দেখে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হবেন। বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের জন্য সৌদি আরবের দ্বার উন্মুক্ত হ্ওয়া আমাদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত।

নতুন চালু করা এ ট্যুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকবে এক বছর। এ সময়ের মধ্যে দেশটির প্রতিটি প্রদেশে সর্বাধিক ৯০দিন থাকতে পারবে। এক বছরের মধ্যে এ ভিসায় সর্বমোট ১৪০দিন থাকতে পারবে। এর বেশি থাকার অনুমতি দেয়া হবে না।

ঘোষিত বিধি অনুসারে, পর্যটকরা ৩টি উপায়ে ভিসা পেতে সক্ষম হবেন-

১। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ‘অনলাইন’ নিবন্ধনের মাধ্যমে।

২। সীমান্ত ক্রসিং করার সময়ও ভিসা নিতে পারবেন। বিমানবন্দরগুলিতে ভিসা প্রাপ্তির সুযোগসুবিধা দেয়া হবে। (কিং খালিদ বিমানবন্দর, কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর, কিং ফাহাদ বিমানবন্দর, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর এবং আল-বাহা গ্রাউন্ড ফ্রন্টিয়ার)।

৩। অনুমোদিত দেশগুলিতে সৌদি দূতাবাস ও কনস্যুলেটের প্রতিনিধিদের মাধ্যমেও ভিসা পেতে পারবেন।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ নামক সংস্কার কর্মসূচির অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু পর্যটনশিল্প। তাই সৌদি আরব সরকার পর্যটন ভিসা (টুরিস্ট ভিসা) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সৌদি আরবের তেল স্থাপনায় হামলার পর বৈশ্বিক বাজারে তেলের দামে বেশ প্রভাব পড়েছে। তাই হামলার মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই এ ঘোষণা এসেছে।

Exit mobile version