
ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ৪-৫ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। রোববার রাতে পুলিশের উপপরিদর্শক আবিদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৪ জনের জানাজা রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে সম্পন্ন হয়। জানাজা শেষে নিজ নিজ এলাকায় নিহতদের দাফন করা হয়। এর আগে, রাতেই বোরহানউদ্দিন থানায় প্রশাসনের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে জেলা আলেম সমাজের নেতৃবৃন্দ। বৈঠকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর আলাপকারীর ফাঁসি, নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যয় বহনের দাবিসহ বেশ-কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়।
এসময় প্রশাসন তাদের সব দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে কর্মসূচির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার কথা বলেন তারা। তবে এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এলাকাজুড়ে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন আছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। এ ঘটনায় বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বোরহানউদ্দিনে বিপ্লব চন্দ্র শুভ নামে একজনের ফেসবুক আইডি থেকে শুক্রবার বিকালে কয়েকজনের সঙ্গে মেসেঞ্জারে আল্লাহ ও রাসূলকে (স.) নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠে। যদিও পরে পুলিশের হাতে আটক অভিযুক্ত যুবক দাবি করেছেন তার আইডি হ্যাক করা হয়েছিল।
একপর্যায় কয়েকটি আইডি থেকে মেসেজগুলোর স্ক্রিনশট নিয়ে ফেসবুকে কয়েকজন প্রতিবাদ জানালে বিষয়টি সবার নজরে আসে। পরে ফেসবুকে প্রতিবাদ শুরু হয়। জানাজানি হয় স্থানীয়দের মধ্যে। ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। প্রতিবাদ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। সেই সমাবেশকে কেন্দ্রে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে চারজন নিহত ও পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি চার প্লাটুন বিজিবি (বর্ডার গর্ড বাংলাদেশ) ও এক প্লাটুন কোস্টগার্ড কাজ করছে।
 
 
				
				
				 
 
				
				
			


Leave a reply