Site icon Jamuna Television

ডিএনসিসির ১৪ কাউন্সিলরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

পরপর তিনটি বোর্ড সভায় অনুপস্থিত থাকা ১৪ জন কাউন্সিলরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। এসব কাউন্সিলরকে মঙ্গলবার নোটিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছেন- টানা চারটি বোর্ড সভায় অনুপস্থিত থাকা ৩ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর বেগম মেহেরুন্নেসা হক, পরপর ৩টি সভায় অনুপস্থিত থাকা ৭ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর খালেদা বাহার বিউটি, টানা ৪টিসহ পাঁচটি সভায় অনুপস্থিত থাকা ১২ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, পরপর ৩টি সভায় অনুপস্থিত থাকা ১৬ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলোরা পারভীন, ২ দফা ৩টি সভাসহ ৭টি সভায় অনুপস্থিত থাকা ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক, টানা ৮টি সভাসহ মোট ৯টি সভায় অনুপস্থিত থাকা ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুর রউফ, টানা ১১টি সভায় অনুপস্থিত থাকা ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রজ্জব হোসেন, পরপর ৩টিসহ মোট ৬টি সভায় অনুপস্থিত থাকা ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নাছির, টানা ৬টি ও পরপর ৩টি সভায় অনুপস্থিত থাকা ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মুজিবুর রহমান, টানা ৭টিসহ ১০টি সভায় অনুপস্থিত থাকা ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম হাসান, পরপর তিনটিসহ ৬টি সভায় অনুপস্থিত থাকা ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. নুরুল ইসলাম রতন, টানা চারটিসহ ৬টি সভায় অনুপস্থিত থাকা ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৈমুর রেজা, পরপর তিন বৈঠকে অনুপস্থিত থাকা ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মোতালেব মিয়া।

স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯ এর ধারা-১৩ এর উপধারা-১ (মেয়র এবং কাউন্সিলর অপসারণ) এ বলা হয়েছে, মেয়র এবং কাউন্সিলর নিজ পদ হতে অপসারণ যোগ্য হবেন, যদি তিনি যুক্তিসঙ্গত কারণ ছাড়া পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকেন।

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব কাউন্সিলর শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, সে সম্পর্কে স্ব স্ব সিটি কর্পোরেশন থেকে অভিযোগ দেয়া হলে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, যেসব কাউন্সিলর বোর্ড সভায় উপস্থিত না হয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ করা হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর সেসব বিচার-বিশ্লেষণ করে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। তিনি বলেন, ‘এটা আইনগত প্রক্রিয়া। কাউন্সিলরদের নোটিশের জবাব এবং আমাদের মতামতের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় যে সিদ্ধান্ত দেবে, আমরা সেটা বাস্তবায়ন করব।’ ডিএনসিসি ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিক বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতা ও এলাকার জনসেবামূলক কাজে জড়িত থাকার কারণে অনেক বোর্ড সভায় উপস্থিত থাকা সম্ভব হয়নি। ডিএনসিসিকে এ ব্যাপারে কারণ ব্যাখ্যা করব।’

ডিএনসিসির ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু তাহের বলেন, ‘আমি বেশির ভাগ বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলাম। বিষয়টি হয়তো এমন হয়েছে যে, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করে চলে এসেছি। এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেব ডিএনসিসিকে।’

ডিএনসিসির ২৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে বোর্ড সভায় উপস্থিত থাকতে পারি না। বিষয়টি ডিএনসিসিকে লিখিতভাবে অবিহত করব।’

Exit mobile version