Site icon Jamuna Television

যমুনায় সংবাদ প্রচারের পর ১০ হাজার টাকা পেল সেই অসহায় দম্পত্তি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

“পাঁচ সন্তান থাকতেও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের শেষ ঠিকানা অন্যের গোয়াল ঘরে” শিরোনামে বৃহস্পতিবার যমুনা অনলাইনে সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসনের নজরে এসেছে। তাৎক্ষনিকভাবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এক বার্তায় যমুনা অনলাইন সংবাদের লিংকসহ ওই অসহায় দম্পত্তিকে টেকসই সহায়তা প্রদান করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরই উপজেলা নির্বাহি অফিসার দ্রুত ওই দস্পত্তির হাতে নগদ ১০ হাজার টাকা তুলে দেন। পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মোঃ মতিউল ইসলাম চৌধুরী এমন একটি মানবিক দৃষ্টিকোণের রিপোর্ট করায় যমুনাটিভিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র এই বাংলায় একজন মানুষ গৃহহীন বা আশ্রয়হীন থাকবে না- সেই প্রতিপাদ্যকে মাথায় রেখে আমি উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলেছি এবং সেই লক্ষ্যে তাকে সার্বিক নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, ওই অসহায় দম্পত্তিকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আশ্রায়ন প্রকল্প বা মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় দূর্যোগ সহনীয় একটি ঘর করে দেয়া হবে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে। সে লক্ষ্যে দু-এক দিনের মধ্যেই কাজ শুরু করা হবে।

জেলা প্রশাসক জানান, বন্দোবস্তের জন্য আবেদন নিয়ে উপজেলা নির্বাহি অফিসারকে দ্রুত পাঠাতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, জমি ও ঘর দুটোই পেলে আশা করি ওই দম্পতির জীবনের অন্তিমকালে একটু হলেও কষ্ট লাঘব হবে। জেলা প্রশাসকের এভাবে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ও সার্বিক নির্দেশনা দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

এদিকে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহি অফিসার মাশফিকুর রহমান জানান, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত পৌছেছে। সেখান থেকেও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পরে তাৎক্ষণিক একজনের সাথে কথা বলে বৃদ্ধ দম্পতিকে দ্রুত আশ্রায়নে নিয়ে আসার জন্য ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওই দম্পত্তির কাছ থেকে বৃহস্পতিবারই একটা বন্দোবস্তের আবেদন নিতেও জোরালোভাবে বলা হয়েছে চেয়ারম্যানকে।

প্রসঙ্গত, পটুয়াখালীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী উপজেলার কাউখালী গ্রামের পাচ সন্তানের জনক বৃদ্ধ শুক্কুর দেওয়ান। তার একমাত্র ছেলে হোসেন দেওয়ান বাবাকে ভুল বুজিয়ে বাড়ীঘরসহ সকল সম্পত্তি নিজের নামে দলিল করে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। এক পর্যায়ে ভিটেবাড়ি হারিয়ে অন্যের গোয়াল ঘরে বৃদ্ধ স্ত্রী ছহুরা খাতুনকে নিয়ে গত এক মাস ধরে বসবাস শুরু করে। এ নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার যমুনাটিভির অনলাইনে প্রতিবেদন প্রকাশ করলে সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া পায়। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষদের বিবেকে নাড়া দেয়। তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসক এ ব্যপারে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

Exit mobile version