Site icon Jamuna Television

বরগুনা গৃহবধুকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

বরগুনা প্রতিনিধি:

বরগুনার পাথরঘাটায় মহিমা বেগম (৩২) নামে এক নারীকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে স্বামী কবির হোসেন তালুকদারের বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগে কবির তালুকদারকে প্রধান আসামি করে তিন জনের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন তারই বড়ছেলে হেলাল তালুকদার। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- কবির তালুকদারের দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচি বেগম ও মেয়ে জামাই মো. সুজন।

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের রায়হানপুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়। মহিমা বামনা উপজেলার ডৌয়াতলা ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের মৃত মকবুল মিস্ত্রির মেয়ে। তিনি অভিযুক্ত কবিরের প্রথম স্ত্রী ছিলেন।

পাথরঘাটা থানা সূত্রে জানা যায়, রায়হানপুর গ্রামের আব্দুর মাজেদ তালুকদারের ছেলে কবির তালুকদার তার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচি বেগম ও মেয়ে জামাই সুজনকে সঙ্গে নিয়ে বসতঘরে শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে মরিয়মকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর বসতঘরের পাশে একটি গাছে ঠেস দিয়ে রাখা হয় মহিমার মরদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার (২৬ অক্টোবর) মহিমার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।

ঘটনার পরদিন শনিবার (২৬ অক্টোবর) দিনগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি কবিরকে গ্রেফতার করে। রোববার (২৭ অক্টোবর) সকালে পুলিশ তাকে পাথরঘাটা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে।

মামলার বাদী হেলাল তালুকদার জানান, ঘটনার দিন সকালে কবির তালুকদার জানান, হেলালের শ্বশুর খুব অসুস্থ। এই কথা বলে হেলালের ছোট ভাই দুলাল ও তার স্ত্রীকে নিয়ে দ্রুত (হেলালের) শ্বশুরবাড়ি কালমেঘায় যান। যাওয়ার আগেই পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মরিয়মকে।

তিনি বলেন, নয় বছর আগে আমার বোন রেখা আক্তারের সঙ্গে বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী এলাচি বেগমের ছেলে সুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর বাবার সঙ্গে রেখার শাশুড়ি (এলাচি বেগম) পরকীয়ায় জড়ান। এ ঘটনা রেখা দেখে ফেললে কষ্টে বিষপানে আত্মহত্যা করে সে। রেখার মৃত্যু কয়েকদিন পরই বাবা (কবির তালুকদার) এলাচি বেগমকে বিয়ে করেন।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাহাবুদ্দিন , খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধান আসামি কবিরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান চলছে।

Exit mobile version