Site icon Jamuna Television

গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ অ্যাম্বুলেন্সে শশুরবাড়িতে পাঠালো স্বামী

গাজীপুরের কালীগঞ্জের এক বাক প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে চট্রগামের হালিশহরে হত্যার পর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে শশুর বাড়িতে পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে কালীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহতের নাম মারজিয়া আকতার লিপি (৩৪)। তিনি গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জের জামালপুর ইউনিয়নের চুপাইর গ্রামের মৃত আবদুল আজিজের মেয়ে। তিনি তার স্বামী মোশারফ হোসেন সরকারের সাথে চট্রগামের পাহাড়তলীর হালিশহর এলাকায় থাকতেন। এ ঘটনার পর থেকে লিপির স্বামী পলাতক। তার স্বামী মোশারফ হোসেন সরকারও একই এলাকার হাসিমুদ্দিন সরকারের ছেলে।

নিহতের স্বজনরা জানায়, লিপি জন্ম থেকে বাক প্রতিবন্ধী। লিপির সঙ্গে ২০ বছর আগে মোশারফের বিয়ে হয়। মোশারফ স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে চট্টগ্রামের হালিশহরে ভাড়া বাসায় থাকত। সেখানে ঠিকাদারি কাজ করত সে। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এর জের ধরে মঙ্গলবার কোন এক সময় হালিশহরের বাসায় লিপিকে পিটিয়ে হত্যা করে মোশারফ। এর পর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজীপুরের কালীগঞ্জে লিপির পিতার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে গাজীপুরের কালীগঞ্জে বাপের বাড়িতে ওই নারীর লাশ এসে পৌঁছে।

নিহত লিপির মা রহিমা বেগম জানান, চট্টগ্রামে লিপির প্রতিবেশীরা ফোন করে তাদের জানিয়েছেন লিপিকে হত্যা করে মোশারফ পালিয়ে গেছে। রহিমা বেগমের অভিযোগ, বিয়ের এক বছর পর থেকেই যৌতুকের জন্য মোশারফ লিপিকে চাপ দিয়ে আসছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার লিপিকে মারধর করেছে মোশারফ। তিন বছর আগে মোশারফ পিটিয়ে লিপির বাম চোখ নষ্ট করে দেয়।

কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুর হক জানান, খবব পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যার ঘটনাটি চট্টগ্রামে ঘটেছে। তাই এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

Exit mobile version