Site icon Jamuna Television

গবেষণা কেন্দ্রকে পরমাণু কেন্দ্রে পরিণত করলো ইরান

একের পর এক চুক্তি লঙ্ঘনের কারণে তোপের মুখে ইরান। এরইমাঝে, বুধবার দীর্ঘদিন গবেষণা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত ফোর্দোকে রূপান্তরিত করা হলো সক্রিয় পরমাণু কেন্দ্রে। সেখানে, নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত ৬০টি সেন্ট্রিফিউজে ঢোকানো হচ্ছে ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লোরাইড গ্যাস। এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন খোদ দেশটির প্রেসিডেন্ট।

ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা- IAEA’র নজরদারির মধ্যেই আমরা ফোর্দো পরমাণু কেন্দ্রে শুরু করেছি কার্যক্রম। সেন্ট্রিফিউজগুলোয় ইউরেনিয়াম গ্যাস ঢোকানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরমাধ্যমে, চতুর্থ দফায় ঐতিহাসিক চুক্তির নীতিমালা থেকে বের হয়ে এলো, তেহরান।

তেহরানের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অভিযোগ, চুক্তিটির ব্যপারে আগ্রহ হারিয়েছে রুহানি প্রশাসন; একারণেই একে-একে লঙ্ঘন করছে বিধিমালা।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেন, ইরান সুকৌশলে JCPOA চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছে। একারণেই, আন্তর্জাতিক অনুরোধ-আহ্বান পাশ কাটিয়ে একের পর এক নীতিমালা লঙ্ঘন করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ, দেশটিকে পরমাণু চুক্তিতে ফেরানোই আমাদের মূল লক্ষ্য।

নীতিগতভাবে ইরানকে সমর্থন দিলেও, চুক্তি মানার আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ইরান কেনো চুক্তি থেকে সরে আসছে- সে বিষয়টি স্পষ্ট। যুক্তরাষ্ট্র নাম প্রত্যাহারের মাধ্যমে শুধু আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেনি; উল্টো তেহরানের ওপর চাপাচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। তবুও, রুহানি প্রশাসনকে চুক্তিটিতে থাকার অনুরোধ জানাবো।

সোমবার, পরমাণু চুক্তির শর্ত সীমিতকরণে ইউরেনিয়াম উৎপাদন ১০ গুণ বৃদ্ধির ঘোষণা দেয় ইরান। একইসাথে জানায়, চালু করতে যাচ্ছে নিজস্ব প্রযুক্তিতে নির্মিত নতুন ৬০টি সেন্ট্রিফিউজ।

Exit mobile version