Site icon Jamuna Television

শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বিদায় নিলেন সাদেক হোসেন খোকা

শ্রদ্ধা আর চোখের জলে চির বিদায় নিলেন সাদেক হোসেন খোকা। গার্ড অব অনার দেয়ার পর সন্ধ্যায় জুরাইন কবরস্থানে বাবা-মা’র পাশে দাফন করা হয়েছে এই মুক্তিযোদ্ধাকে।

এর আগে সাদেক হোসেন খোকার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, নয়া পল্টনে হাজির হন হাজার হাজার রাজনৈতিক সহকর্মী, কর্মী-সমর্থক-অনুরাগী। জানাজা শুরুর আগে, সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বলেন, ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও বিএনপি’র প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অবিচল ছিল তার বাবার।

বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রাজপথে থাকার আকুতি ছিলো বিদেশে চিকিৎসাধীন সাদেক হোসেন খোকার। সেই আক্ষেপ পূরণ হলো ঠিকই। কর্মী-সমর্থক বেষ্টিত হয়ে রাজপথে আসলেন খোকা, কিন্তু বড় অসময়ে-কফিনবন্দি হয়ে।

গেরিলা যোদ্ধা থেকে জননেতা হওয়া সাদেক হোসেন খোকার নিথর দেহ যখন পল্টনমুখী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তখন হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অপেক্ষা। যে নেতা পৌরসভার কাউন্সিলর থেকে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন, হয়েছেন ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র।

দেশের মাটিতে দ্বিতীয় জানাজা হয় নয়াপল্টনে। ভারাক্রান্ত মনে হাজির বিএনপি’সহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বাদ জোহর জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও, নেতা-কর্মীদের বিপুল উপস্থিতিতে তা কিছুটা বিলম্বিত হয়। দুপুর ২টার দিকে জানাজা শুরুর আগে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বড় অসময়ে চলে গেলেন খোকা, অপূরণীয় ক্ষতি হলো বিএনপি তথা সামগ্রিক রাজনীতির।

নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বিএনপি’র প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস অবিচল ছিলো সাদেক হোসেন খোকার।

পল্টনের জানাজায় বিএনপির কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা অংশ নেন। মোনাজাত শেষে দলীয় পতাকায় আবৃত করা হয় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকার মরদেহ। এরপর শ্রদ্ধা জানানো হয় দল ও ভরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে।

এরআগে এই বিএনপি নেতার প্রথম জানাজা হয় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের সারথীরা অংশ নেন এতে। দল-মতের উর্ধ্বে উঠে শ্রদ্ধা জানাতে কার্পণ্য ছিলো না কারো।
এরপর বেলা ১২টায় যখন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেয়া হয় খোকার মরদেহ, তখন শ্রদ্ধা জানাতে নামে মানুষের ঢল। পতাকাশোভিত কফিনে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় সর্বস্তরের মানুষ।

নয়াপল্টনে জানাজা শেষে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা দক্ষিণের নগর ভবনে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনম্র শেষ শ্রদ্ধা জানায় সাবেক মেয়রের কফিনে। আরেক দফা হয় জানাজা।

এরপর গোপীবাগে নিজ বাসা হয়ে ধূপখোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সাদেক হোসেন খোকার শেষ জানাজা। সেখান থেকে নেয়া হয় জুরাইন কবরস্থানে। সম্মান জানিয়ে বীর এই মুক্তিযোদ্ধাকে দেয়া হয় গার্ড অব অনার। শেষে নিজ ইচ্ছে অনুযায়ী বাবা-মা’র পাশে দাফন করা হয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাদেক হোসেন খোকাকে।

Exit mobile version