Site icon Jamuna Television

ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: সাতক্ষীরায় খোলা হয়েছে ২৭০টি আশ্রয় কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে দিনভর মেঘাচ্ছন্ন সাতক্ষীরার আকাশ। শুক্রবার জেলার কোথাও দেখা যায়নি সূর্যের মুখ। বেলা বাড়ার সাথে সাথে শুরু হয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সন্ধ্যায়ও বৃষ্টি থামার কোন চিহ্ন দেখা যায়নি।

এদিকে ‘বুলবুল’র সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন। সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দুর্যোগ মোকাবেলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল জানান, উপকূলীয় উপজেলাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, বুলবুল’র মোকাবেলায় প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন নৌযানগুলিকে উপকূলে নিরাপদ স্থানে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, এরই মধ্যে ২৭০ টি আশ্রয় শিবির প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১২৫২টি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ফাঁকা করে রাখা হয়েছে। শ্যামনগর ,আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার জনগণকে শনিবার বেলা ১১ টার মধ্যে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দুর্যোগ কবলিতদের সহায়তায় তৈরি রাখা হয়েছে ১১০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১ লাখ টাকা, ৮’শ প্যাকেট শুকনো খাবার, ২৭ হাজার পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, পানীয় জল ও ওষুধপত্র। একইসাথে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও রেডক্রিসেন্ট সদস্য, ৮৫টি মেডিকেল টিম, নৌ ও স্থলযান।

জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পুলিশ, বনবিভাগ,কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও বিজিবির পক্ষ থেকেও উপকূলীয় এলাকায় বুলবুল মোকাবেলায় গ্রহণ করা হয়েছে আগাম ব্যবস্থা।

যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য বাতিল করা হয়েছে জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের ছুটি সেইসাথে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মস্থল ত্যাগ করতে নিষেধ করা হয়েছে।

Exit mobile version