Site icon Jamuna Television

পরিস্থিতি বদলে গেছে, হুমকি দিয়ে লাভ নেই: যুক্তরাষ্ট্রকে তুরস্ক

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া দেশগুলোকে নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার জাতিসংঘে মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালি বলেন, যারা তার দেশের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তাদের নাম-তালিকা লিখে রাখা হবে।

এর পরপরই খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, যেসব দেশ জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির বিরুদ্ধে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোট দেবে তাদেরকে দেয়া সহায়তা বন্ধ করা হবে।

উপর্যুপরি এমন হুমকির প্রেক্ষিতে পাল্টা বক্তব্য দিয়েছে জেরুজালেম ইস্যুতে সবচেয়ে সরব দেশ তুরস্ক। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত জাভুসুগ্লু বলেছেন, ট্রাম্পের হুমকি ধমকিতে ভীত নয় আঙ্কারা। একই বক্তব্য ফিলিস্তিনেরও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি হুমকি দিয়ে কারো মুখ বন্ধ করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র।

বুধবার ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘নিকি হ্যালি (মার্কিন প্রতিনিধি) জাতিসংঘে বিশ্বকে যথার্থ বার্তা দিয়েছেন। অনেক দেশ আমাদের অর্থে চলে, অথচ নিরাপত্তা পরিষদে ভোট দিয়েছে আমাদের বিরুদ্ধেই। সাধারণ পরিষদেও আমাদের বিরুদ্ধে কারা দাঁড়ায় সেটি নজরে রাখবো। বন্ধ করা হবে তাদের অর্থ সহায়তা। এতে আমাদেরই লাভ। শুধু শুধু আর কাউকে ফায়দা লুটতে দেয়া হবে না।’

এর জবাবে তু্র্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত জাভুসগ্ল বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এসব হুমকিতে ভয় পায় না বিশ্ব। কি ভাবেন আপনারা, বিরোধিতা করলে শাস্তি দেবেন? পরিস্থিতি এখন অনেক বদলে গেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধ রুখে দাঁড়াতে কেউ আর ভয় পায় না। কোন সভ্য দেশ এমন হুমকি দিতে পারে না।’

তুরস্কের উপপ্রধানমন্ত্রী বাকির বজদাগও জাভুসগ্লুর কথার পুরাবৃত্তি করেছেন। তিনি বলেন, ফিলিস্তিন ও জেরুজালেমকে রক্ষা করতে তুরস্ক যথাযথ অবস্থান ধরে রাখবে। কোনো ধরনের হুমকি বা চাপের কারণে তুর্কিরা নিজেদের অবস্থান বদলাবে না।

ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি বলেছেন, ‘হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। কে কাকে সর্মথন জানাবে এটা রাষ্ট্রগুলোর নিজস্ব বিষয়। বিশ্ব রাজনীতিতে অন্যদের দমাতে নতুন পন্থা শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাব তুললে দেখা যাবে সত্য আর ন্যায়ের পক্ষে কারা দাঁড়ায়।’

নিরাপত্তা পরিষদে, জেরুজালেম ইস্যুতে তোলা প্রস্তাব মার্কিন ভেটোতে ভেস্তে গেলেও বৃহস্পতিবারই বিষয়টি সাধারণ পরিষদে তুলতে বদ্ধ পরিকর ফিলিস্তিন। অধিকার আদায়ে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকা কথাও জানিয়েছে সৌদিসহ মুসলিম নেতারা।

এদিকে মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এখনো উত্তাল পশ্চিম তীর ও গাজা। বৃহস্পতিবারও বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের ওপর দমনপীড়ন চালায় ইসরায়লি সেনারা।

Exit mobile version