Site icon Jamuna Television

নতুন বিশাল খনি আবিষ্কারের খবর দিয়ে ইরানের ‘তেল কূটনীতি’!

বড় একটি তেলের খনির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে ইরান। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট রুহানি জানিয়েছিলেন পাঁচ হাজার ৩০০ কোটি ব্যারেল তেল রয়েছে নতুন আবিষ্কৃত এই তেলক্ষেত্রে।

যদিও দেশটির তেলমন্ত্রী বাইজান জানজেনেহ জানিয়েছেন, খনিটিতে দুই হাজার ২২০ কোটি ব্যারেল তেলের মজুদ রয়েছে। তবে তেলের ধরণ প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে এর মধ্যে মাত্র দুই হাজার ২২০ কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন সম্ভব।

রোববার প্রথম নতুন তেলক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি। পরে সোমবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত তুলে ধরেন তেলমন্ত্রী।

বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ইরানের অর্থনীতি তেলের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র আহভাজে।

এতে ছয় হাজার ৫০০ কোটি ব্যারেল তেল মজুদ আছে। কিন্তু ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির করা ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে গত বছর যুক্তরাষ্ট্র সরে গিয়ে দেশটির ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। বিশেষ করে ইরানের তেল রফতানির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশটির তেল বিক্রি অনেক কমে গেছে।

এর কারণ, যেসব দেশ ইরানের তেল কিনবে তাদের ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তেহরানের দাবি, ইরান তেল উত্তোলন মাত্র ১ শতাংশ বাড়ালেই তাদের আয় ৩,২০০ কোটি মার্কিন ডলার বেড়ে যাবে। ইরানের অর্থনীতি মূলত তেলনির্ভর।

এদিকে ফোর্বস ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ইরান নতুন তেলক্ষেত্রে সন্ধান লাভের খবরটি আসলে দেশটির জন্য তেমন কোনো সুসংবাদ নয়। কারণ বাস্তবে তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তেল উঠানো সম্ভব না হওয়ায় অর্থনীতিতে বড় কোনো প্রভাব পড়বে না।

ফোর্বসের প্রতিবেদক মনে করেন, মূলত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন আকর্ষণের জন্য ইরান নতুন এই খনি দিয়ে ‘তেল কূটনীতি’ করার চেষ্টা করছে।

Exit mobile version