Site icon Jamuna Television

আবারো বেপরোয়া বিমানের স্বর্ণ চোরাচালান চক্র

আব্দুল্লাহ তুহিন, বিশেষ প্রতিনিধি

আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বিমানের স্বর্ণ চোরাচালান চক্র। হ্যাঙ্গারে থাকা বোয়িং আকাশপ্রদীপেরর ভেতরে যাত্রী সিটের নীচে বিশেষ ভাবে লুকিয়ে রাখা ৯ কেজি ওজন পরিমাণ স্বর্ণবার উদ্ধার করেছে ঢাকা কাস্টমস্ হাউজের প্রিভন্টিভ টীমের চৌকস সদস্যরা।
এসময় তাদের সাথে ছিলো আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের স্টাফরা ছাড়া কোন ভাবেই সাধারণ যাত্রীদের পক্ষে এভাবে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখা সম্ভবনা বলে জানায় তারা।

আবুধাবি থেকে আসা বিমানের আকাশপ্রদীপ ফ্লাইটটি বুধবার বিকেল সাড়ে তিনটায়
শাহজালালে যাত্রী নামিয়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার এবং নিয়মিত চেকিং এর জন্য হ্যাঙ্গারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানেই তল্লাশী শুরু করে কাস্টমস ও এপিবিএন সদস্যরা।

এর আগেও বিমানের বডির ভেতরে লুকিয়ে রাখা ১২৪ কেজির স্বর্ণ ধরাপরার ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বিমানের প্রকৌশল শাখার কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় বিশাল এ চালানটি খালাসের অপেক্ষায় ছিলো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, বিমানে ডিউটিরত কেউ বা হ্যাঙ্গারের প্রকৌশল শাখার সদস্যরা ছাড়া এভাবে স্বর্ণ লুকিয়ে রাখা সম্বব না।

কাস্টমস হাউজের সহকারি কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি তবে ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে আসবে চক্রের সদস্যরা।

এপিবিএনের সিনিয়র পুলিশ সুপার জানান, ৬টি সিটের নীচে পাইপের ভেতর বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ৭৬ টি বার জব্দ করা হয়েছে।

একই ভাবে বছর গেলো কয়েক বছরে দফায় দফায় বিমানের টয়লেটে বিশেষ ভাবে লুকিয়ে রাখা স্বর্ণবার জব্দ করা হয়।

এর আগে চোরাচালানের ঘটনায় বিমানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৭০ জনেরও বেশী সিন্ডিকেট সদস্যকে সনাক্ত করে তালিকা করেছিলো গোয়েন্দা পুলিশ। এক ডিজিএম, সিনিয়র পাইলটসহ উর্ধ্বতন তিন কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের পর রহস্যজনক কারণে থমকে যায় এ অভিযান।

Exit mobile version