Site icon Jamuna Television

আগারওয়ালের দুরন্ত সেঞ্চুরিতে ছুটছে ভারত

ভারতীয় ক্রিকেট আকাশে ধুমকেতুর মতো আবির্ভাব মায়াঙ্ক আগারওয়ালের। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ফর্মের তুঙ্গে আছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি হাঁকালেন এ ওপেনার। এ নিয়ে মাত্র ৮ টেস্টের ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান।

শুক্রবার ইন্দোরে এবাদত হোসেনের বল স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়ে ২ রান নিয়ে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন আগারওয়াল। এর সঙ্গে ১২ ইনিংসে তার রান দাঁড়ায় ৭১৫। ৬০ প্লাস গড়ে এ রান করেছেন তিনি। ঝুলিতে রয়েছে ৬টি হাফসেঞ্চুরি।

আগারওয়ালের অভিষেকের পর সমান ইনিংসে তদূর্ধ্ব রান রয়েছে কেবল স্টিভ স্মিথের (৭৭৪)। এছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যানের এ নজির নেই। ডানহাতি ওপেনারের অনন্য সেঞ্চুরিতে ছুটছে ভারত। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩ উইকেটে ২২৫ রান করেছে তারা। তিনি ১১১ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন। তাকে যোগ্য সহযোদ্ধার সমর্থন দিচ্ছেন আজিঙ্কা রাহানে। এরই মধ্যে ক্যারিয়ারে ২১তম ফিফটি তুলে নিয়েছেন তিনি। ডানহাতি মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান অপরাজিত আছেন ৫০ রানে। ইতিমধ্যে দুজনে মিলে গড়েছেন ১০৬ রানের পার্টনারশিপ।

প্রথম দিনের ১ উইকেটে ৮৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন খেলতে নামে ভারত। ৩৭ রানে আগারওয়াল এবং ৪৩ রান নিয়ে পুজারা দিনের খেলা শুরু করেন। আগের দিন দলীয় ১৪ রানে হিটম্যান রোহিত শর্মা ফেরার পর দারুণভাবে প্রাথমিক ধাক্কা সামলে নেন তারা। দিন শেষে জমাট বেঁধে ওঠে তাদের জোট।

তবে এদিন শুরুতেই তাদের জুটিতে ভাঙন ধরে। পুজারাকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন আবু জায়েদ। তাতে ভাঙে ৯১ রানের পার্টনারশিপ। বৃহস্পতিবার ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগে ইনফর্ম রোহিতকেও সাজঘরে ফেরত পাঠান তিনি। ফেরার আগে অবশ্য ২৩তম ফিফটি তুলে নেন পুজারা। ৭২ বলে ৯ চারে ৫৪ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন তিনি।

সেই রেশ না কাটতেই সময়ের সেরা ব্যাটসম্যান কোহলিকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন আবু জায়েদ। অবশ্য প্রথমে তার আবেদনে সাড়া দেননি অনফিল্ড আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিলে সিদ্ধান্তের হেরফের ঘটে। এতে ডাক মেরে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন ভারতীয় অধিনায়ক।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫০ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান করেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি। ২টি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন।

Exit mobile version