Site icon Jamuna Television

ওয়ার্নারের ট্রিপল সেঞ্চুরির রহস্য ফাঁস করলেন ক্যান্ডিস

সোশ্যাল মিডিয়ায় করা ভক্তের আবদার রাখতেই নাকি ট্রিপল সেঞ্চুরি করেছেন অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এমন কথাই জানালেন তার স্ত্রী ক্যান্ডিস। শনিবার অ্যাডিলেডের মাঠে ওয়ার্নার যখন ট্রিপল সেঞ্চুরি করে শূন্যে লাফ দিলেন তখন দর্শকসারিতে বসে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তার স্ত্রী।

পরে টুইট করে রহস্য ফাঁস করে ক্যান্ডিস লেখেন, শারীরিক সক্ষমতা শক্তির আসল উৎস নয়। অদম্য ইচ্ছাশক্তিই শরীরে এনে দেয় বল-সাহস।

২০১৫ সালের ২৩ জুলাই সোশ্যাল মিডিয়ায় জোনাথন নামের এক ভক্ত ওয়ার্নারের উদ্দেশে লেখেন, টেস্ট ক্রিকেটে একটা ট্রিপল সেঞ্চুরি অন্তত কর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই ভক্তের অনুরোধ শুনে সেদিন হাসেন তিনি। শনিবার অ্যাডিলেডে সেই ভক্তের আবদার রাখলেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি ওপেনার। ৩৩৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেললেন তিনি। তার ব্যাটিং দাপটে ৩ উইকেটে ৫৮৯ রানের পাহাড় গড়ে প্রথম ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেন অজিরা। জবাব দিতে নেমে ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে পাকিস্তান।

ট্রিপল সেঞ্চুরি করতে হলে চরম ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয় ব্যাটসম্যানকে। দাঁত কামড়ে পড়ে থাকতে হয় ক্রিজে। ওয়ার্নার সেটার ধার ধারেন না। মারমুখী ব্যাটিং করতে গিয়ে অনেক সময় তার উইকেট গড়াগড়ি খায় মাটিতে। ধৈর্যের দোহাই দিয়ে সেদিন ভক্তের আবদার উড়িয়ে দেন অজি তারকা।

ওয়ার্নারও এ মনোশক্তিরই পরিচয় দিয়েছেন দ্বিতীয় টেস্টে। গোলাপি বলে দিবারাত্রির টেস্টে ধৈর্য ধরে ব্যাট করে ১০০ কে ২০০, ২০০ কে ৩০০ রানে পরিণত করেন তিনি। ক্যান্ডিস বলেন, বহির্জগতের মানুষ আপনার সম্পর্কে কী মনে করছেন, তা মোটেও গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিজের ক্ষমতায় আপনি কতটা বিশ্বাসী সেটাই আসল ব্যাপার।

ওয়ার্নারের লড়াইটা খুব কাছ থেকে দেখেছেন স্ত্রী ক্যান্ডিস। তাই তিনি এমন কথা বলতে পারেন। বল বিকৃতি কাণ্ডে জড়িয়ে ১ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নির্বাসিত হন অজি ওপেনার। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফিরে অ্যাশেজে ‘বোবা’ থেকে যায় বাঁ হাতি বিস্ফোরক ব্যাটারের ব্যাট। ফলে প্রবল সমালোচিত হন তিনি। সেখান থেকে কী দারুণ কামব্যাক!

Exit mobile version