Site icon Jamuna Television

১ কেজি পেঁয়াজের দামে মিলছে ২ কেজি মুরগি

নৈরাজ্য থামছেই না পেঁয়াজের বাজারে। বাজারে দেশি জাতের সরবরাহ বাড়লেও তার কোনো প্রভাব নেই। দু দিনের ব্যবধানে রাজধানীতে দাম বেড়েছে কেজিতে আরো ১০ টাকা। সংকট কাটাতে আকাশপথে পেঁয়াজ আমদানি করেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না। বর্তমানে এক কেজি পেঁয়াজের দামে দুই কেজি ব্রয়লার মুরগি কেনা যাচ্ছে! যেটি ৪ মাস আগেও কেউ কল্পনা করতে পারেনি।

বাজারে এক কেজি ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। সেই হিসাবে দুই কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২২০-২৪০ টাকা। আর রাজধানীর কারওয়ানবাজারে, প্রতি কেজি দেশি জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি দরে। অন্যান্য বাজারে যেটির দাম আরও বেশি। রসিকতা করে এক ক্রেতার উক্তি, আগে মুরগি রাঁধতে অনুষঙ্গ হিসেবে পেঁয়াজ লাগতো, এখন পেঁয়াজের অনুষঙ্গ হয়ে গেছে মুরগি।

বাজারে পাতাসহ আসা নতুন পেঁয়াজের দাম নেয়া হচ্ছে গড়ে ১৬০ টাকা। এদিকে, মিয়ানমারের পেঁয়াজের কেজি দুদিন আগে ১৮০ টাকা থাকলেও, আজ তার দর হাকা হচ্ছে ২০০ টাকা। হোটেল রেস্তোরায় বেশি বিকোচ্ছে তুরস্কের বড় আকারের পেঁয়াজ। প্রতি কেজি ১৩০ টাকা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম ৫০ রুপিতে নেমে এসেছে। এটি আরেকটু কমলে চলতি মাসেই পেঁয়াজ রফতানির ঘোষণা দিতে পারে দেশটি। তখন দাম আগের পর্যায়ে নেমে আসবে জানুয়ারির মধ্যেই।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, তারা নতুন করে দাম বাড়াননি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। কারণ আড়ত থেকে নতুন করে পেঁয়াজ আনা হয়নি। এখন আড়তে দাম বাড়লে খুচরা বাজারেও বাড়বে।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসেব বলছে, এক বছরে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫৫৪ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৫৯২ শতাংশ আর আমদানি করা পেঁয়াজ বেড়েছে ৫৬০ শতাংশ। এক বছর আগে দেশি পেঁয়াজ ছিল ৩০-৩৫ টাকা আর আমদানি করা পেঁয়াজ ছিল ২০-৩০ টাকা।

Exit mobile version