Site icon Jamuna Television

টানা তৃতীয় বার জাতীয় লিগের চ্যাম্পিয়ন খুলনা

ঢাকা বিভাগকে হারিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগের হ্যাটট্রিক শিরোপা জিতলো খুলনা বিভাগ। শেষ রাউন্ডের শেষ দিনে ইনিংস ও ৪৯ রানের জয়ে রেকর্ড ৬ষ্ঠ বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো তারা।

মেহেদী মিরাজ, রুবেল হোসেনদের বোলিয়ে ৩৪৬ রানে পিছিয়ে থাকা ঢাকা শেষ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ২৯৭ রানে। তবে, শিরোপা উদযাপনে এবারও ট্রফি না পাওয়ায় আক্ষেপ ছিলো অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের কণ্ঠে ।

৩৪৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ২৯৭ রানেই শেষ হয়ে যায় ঢাকার ইনিংস। আর তাতেই জাতীয় ক্রিকেট লিগে সর্বোচ্চ ৬ষ্ঠ শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায় খুলনার।

প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৭ উইকেট নেওয়া অফ স্পিনার মিরাজ দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৯ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট শিকার করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মিরাজের ঘূর্ণিযাদুতে ১১৩ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে এনামুল হক বিজয়ের ২০২ এবং মেহেদী হাসানের ১৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে ৫৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে খুলনা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে ঢাকার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে হারিয়ে ১৬৯ রান। ইনিংস পরাজয় এড়াতে ১৭৭ রান লক্ষ্য পার করতে পারেনি ঢাকা বিভাগ। শেষ দিন স্কোর বোর্ডে ১২০ রান যোগ করে অল আউট হলে টানা তৃতীয় বার এবং সর্বেমোট এবং সর্বাধিক ৬ষ্ঠ বারের শিরোপা জিতল খুলনা বিভাগ।

শিরোপার দিক থেকে ঢাকা, রাজশাহী এবং খুলনা ৫ বার করে ছিল এই মৌসুমের আগে। এবার এগিয়ে গেল খুলনা। অবশ্য, টানা শিরোপা জেতার ক্ষেত্রে এখনও এগিয়ে রাজশাহী। ২০০৮-০৯ থেকে ২০১১-১২ টানা ৪ মৌসুমে শিরোপা জেতে রাজশাহী।

ব্যাটিং বোলিংয়ে সেরাদের তালিকায় খুলনার ক্রিকেটারদেরই আধিপত্য। প্রায় ৭৮ গড়ে ৬১৯ রান করে আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ওপেনার এনামুল বিজয়। যেখানে আছে দুই ডাবল সেঞ্চুরিও। আর বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক ১৯ উইকেট শিকার করে হয়েছেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।

যমুনা অনলাইন: টিএফ

Exit mobile version