Site icon Jamuna Television

বক্তব্যের খণ্ডিতাংশ প্রচার করে সম্মানহানি করা হয়েছে: নুর

কয়েকটি গণমাধ্যমে তার বক্তব্যের খণ্ডিতাংশ বিকৃতভাবে প্রচার করে সম্মানহানি ও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ফোনালাপ ফাঁস করে গণমাধ্যমে প্রচার সংবিধান ও রাষ্ট্রীয় আইনবিরোধী। তাছাড়া এভাবে তথ্য বিকৃত করে সংবাদ পরিবেশনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্পষ্ট অপরাধ।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলন একথা জানান তিনি।

নুর জানান, গত ০৩/১২/১৯ ইং তারিখে কয়েকটি গণমাধ্যমে আমার কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপের খণ্ডিতাংশ বিকৃতভাবে প্রচার করে ভুলভাবে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, যা আমার সম্মানহানি ও জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। অডিওটির প্রথম অংশের কথোপকথন ছিল আমার খালা ও আমার পরিচিত এক ভাইয়ের সাথে। যেখানে আমার খালার কনস্ট্রাকশন ফার্মের ১৩ কোটি টাকার একটি কাজের ব্যাংক গ্যারান্টি নিয়ে ভাইয়ের সাথে আলোচনা করেছিলাম, যা একান্তই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ব্যবসা-সংক্রান্ত বিষয়। কথোপকথনটির বিভিন্ন খণ্ডিতাংশ বিকৃতভাবে প্রচার করে এবং আমি জনৈক প্রকল্প কর্মকর্তার কাছে ১৩ কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজের তদবির করি, এই মর্মে খবর প্রচার করা হয়। কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে সেখানে আমি কোনো প্রকল্প কর্মকর্তার সাথে কোনো কথা বলা কিংবা কোনো তদবির করিনি।

অডিও ক্লিপটির দ্বিতীয় অংশে আমি প্রবাসী কোনো এক ব্যক্তির কাছে আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছি এমর বলা হলেও প্রকৃত ঘটনাটি ছিল, জনৈক প্রবাসী ব্যক্তি ফোন করে আমাকে সহযোগিতার কথা বললেও আমি তা নাকচ করে দেই।

পুরো ফোনালাপটি শুনলে তার কথার সত্যতা পাওয়া যাবে বলে মনে করেন নুর। বলেন, আশ্চর্যের বিষয়, ওই ঘটনা নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করার ক্ষেত্রে ঘটনার সত্যতা যাচাই না করে, আমার কোনো বক্তব্য না নিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করা এবং ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’র ইমেজ ক্ষুণ্ন করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তথ্য বিকৃত করে এমন সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে।

নুর বলেন, বুধবার ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নামক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের একটি সংগঠন আমার পদত্যাগ দাবি করে, কক্ষে তালা লাগায়। যার আহ্বায়ক, আওয়ামীপন্থী নীল দলের বিতর্কিত শিক্ষক নেতা সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দিন। একই সাথে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান জয়ও একই দাবি করেন। ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে আমি মনে করি যে, এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। আমাকে ও আমার সংগঠন তারুণ্যের স্পন্দন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’কে বিতর্কিত করে তুলে ধরতেই রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় এমন হীন চক্রান্তের আয়োজন করা হয়েছে।

Exit mobile version