Site icon Jamuna Television

CAA’র সমর্থনে ভারতের ১,১০০ শিক্ষাবিদ-বুদ্ধিজীবীর যৌথ বিবৃতি

ভারতের নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (সিএএ)-র প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। এরই মধ্যে নতুন আইনটির সমর্থনে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করলেন ১,১০০ জন শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং গবেষক। ওই যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাঁরা কী কারণে নাগরিকত্ব আইনকে সমর্থন করছেন। একই সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদনও জানিয়েছেন সাধারণের উদ্দেশে।

যৌথ বিবৃতি আইনটির সদর্থক দিক সম্পর্কে বলা হয়েছে, “এই আইনটি পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে নিপীড়িত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আশ্রয় দেওয়ার দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করেছে”।

বিবৃতিতে তুলে ধরা হয়েছে ঐতিহাসিক তথ্য। বলা হয়েছে, “১৯৫০ সালের লিয়াকত-নেহরু চুক্তির ব্যর্থতার পর থেকেই বিভিন্ন নেতা ও রাজনৈতিক দল যেমন কংগ্রেস, সিপিএম ইত্যাদি মতাদর্শগত ব্যাখ্যায় কাটছাঁট করেছে। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের, যাঁরা বেশিরভাগ দলিতদের অন্তর্ভুক্ত তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার দাবি জানিয়েছে”।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীরা সংসদ এবং সরকারকে ‘ভুলে যাওয়া সংখ্যালঘুদের পক্ষে দাঁড়ানোয়’ এবং ‘ভারতের সভ্যতাগত নৈতিকতা’ সমুন্নত রাখার জন্য এবং ধর্মীয় নিপীড়ন থেকে পালিয়ে আসা মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে।

তাঁদের ব্যাখ্যা, “আমরা সন্তুষ্টির সঙ্গে দেখেছি যে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির উদ্বেগ শোনা গিয়েছে এবং তা যথাযথ ভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি,সিএএ ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের সঙ্গে নিখুঁত ভাবে সমন্বয় করছে কারণ এটি কোনো ধর্মের কোনো ব্যক্তিকে কোনো দেশ থেকে দিচ্ছে না, আইনে নাগরিকত্বের মানদণ্ডকে কোনো ভাবেই পরিবর্তন করা হয়নি। বিশেষ পরিস্থিতিতে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় নিপীড়ন এড়াতে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘুদের জন্য বিশেষ পরিস্থিতিতে শুধু মাত্র একটি বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে”।

ইচ্ছাকৃত ভাবেই কোনো কোনো মহল থেকে এই অশান্তিতে ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। যে কারণে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে অপপ্রচার, সাম্প্রদায়িকতা এবং নৈরাজ্যবাদ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Exit mobile version