Site icon Jamuna Television

দেশের বিভিন্নস্থানে খাল-নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান

দেশের বিভিন্নস্থানে খাল-নদীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বড় বড় স্থাপনা।

সকালে ফেনী সদরের রানীরহাটের কুমারিয়া খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে শুরু হয় অভিযান। পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন আর পানি উন্নয়ন বোর্ড। এখন পর্যন্ত খালের পাড় দখল করা ১০টি দোকান গুড়িয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিকেল পর্যন্ত চলবে উচ্ছেদ। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

টঙ্গীর তুরাগ তীরেও পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে উচ্ছেদ অভিযান। কাঁচা বাজার, দোকানসহ দুইশ’ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। সবগুলো স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার কুমার নদের দুই পাড়েও চলছে উচ্ছেদ অভিযান। এরইমধ্যে অর্ধশত স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলায় গোমতী নদী দখল করে গড়ে ওঠা ১৩৯ টি স্থাপনা উচ্ছেদেও অভিযান চলছে। শেরপুরের নকলার সুতিখালী নদীর ১০ কিলোমিটার অংশ দখল মুক্ত করতে শুরু হয়েছে অভিযান। দখল মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান চালানোর ঘোষণা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জামালপুর সদর উপজেলার গবাখালী খালের দুই পাড়ে অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালায় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড। বেলা ১১ টায় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল রনি উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

ঠাকুরগাওয়ে নদী দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দুপুরে জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার লাছি নদীর কয়েকটি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়ার ম্যাধ্যমে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামে সুরমা নদীতে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদে অভিযান চালায় পানি উন্নয়নবোর্ড ও জেলা প্রশাসন। সোমবার সকালে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিজন কুমার সিংহের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে সুরমা নদীর তীরে ৫৫ টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া একই সময়ে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাধের উপর নির্মিত ৩৫ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

কুমিল্লার সদর উপজেলার গোমতী নদীর দু,পাড়ের দীর্ঘদিনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসনের ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পানি উন্নয়ন বোর্ড কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ এ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেয়। এ কাজে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন তিনটি বুলডোজার প্রথমে নদীর উত্তর পাড়ের পালপাড়া এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালায়।

নরসিংদী সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদ দখল মুক্ত করতে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার অংশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেছে নদী রক্ষ কমিটি। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সেনাবাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ অংশগ্রহণে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কমল ঘোষ, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ আলম মিয়াসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Exit mobile version