Site icon Jamuna Television

তথ্য পাচার: সেই পুলিশ সদস্যকে ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর
ভারতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের অভিযোগে আটক পুলিশ সদস্য দেবপ্রসাদ সাহাকে আবারও পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে। সোমবার তাকে যশোরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দিন হুসাইনের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তার ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে তাকে ১৯ ডিসেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড নেয়।

গত ১৭ ডিসেম্বর তাকে ঢাকা থেকে আটক করে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ। ঢাকা থেকে আটকের পর তাকে যশোরে আনা হয় এবং আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

দেব প্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল ইমিগ্রেশন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সেখানে থাকা অবস্থায় তিনি যখন-তখন নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া আসা করতেন। বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ বাহিনীর দুজন সদস্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ওই দুজন মাঝে মধ্যে বেনাপোলে গিয়ে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।

২০১৮ সালে শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত এক পেনড্রাইভ নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন। ১৫ দিন পর তিনি বিশেষ বাহিনীর এক সদস্যের কাছ থেকে এনে আরেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিএসবি) তৌহিদুল ইসলাম জানায়, গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের এক হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিন আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ এক পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। এসময় তিনি ভারতের কাছ তথ্য পাচারের বেশ কিছু তথ্য দেন। পরে বিষয়টি পুলিশ হেড কোয়ার্টারস তদন্ত কমিটি গঠন করে অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে তাদের মোবাইল ফোনের কললিস্ট থেকে ভারতের পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আরেফের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারতে বাংলাদেশের তথ্য পাচারের বিষয় উঠে আসে। এরপর দেব প্রসাদের নামে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা ও আটক করা হয়।#

Exit mobile version