Site icon Jamuna Television

শুভ বড়দিন আজ

খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুভ বড়দিন আজ; খ্রিষ্ট ধর্মানুসারীদের বিশ্বাস, এ দিন ত্রাণকর্তার ভূমিকায় পৃথিবীতে আগমন ঘটে যিশুর। নিয়ে আসেন শান্তির বাণী।

রাতে রাজধানীর কাকরাইলের ক্যাথিড্রাল চার্চে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। এতে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা সমবেত হন। অন্য ধর্মের অনুসারীরাও প্রার্থনা দেখতে আসেন। মনোমুগ্ধকর আলোক সজ্জা দেখেও আনন্দ পায় শিশু ও কিশোররা। প্রার্থনায় ফাদার তপন ডি রোজারিও বাইবেল থেকে পাঠ করেন। তিনি বলেন, যিশু ছিলেন সকল মানবের। যিশুর শিক্ষায় মানবতার ধর্মে দিক্ষিত হয়ে আত্মিক উন্নতি লাভ করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। কয়েক ধাপে প্রার্থনা ও সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। বড়দিন উদযাপন ঘিরে চার্চের ভেতরে বাইরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।

গির্জায় গির্জায় আজ প্রার্থনা হবে। পৃথিবী তথা মানবতার কল্যাণে মহান যিশুর শান্তির বাণী ছড়িয়ে দেয়া হবে মানুষে মানুষে। আলোকসজ্জা, ক্রিমসাস ট্রি, সান্তাক্লজের উপহার প্রদানে সময় কাটবে আনন্দে।

দুই হাজার বছর আগে এই শুভ দিনেই পৃথিবীকে আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট। বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারিমাতা মেরির কোলে জন্ম হয়েছিল যিশুর। দিনটি খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য সবচেয়ে আনন্দের।

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য যিশুখ্রিস্টের জন্ম হয়। তার জন্মদিনটিকে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা তাই ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে। এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। তাই আজ গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশের খ্রিস্টান সম্প্র্রদায়ও নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করছে তাদের সবচেয়ে বড় এ উৎসব।

খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস- ঈশ্বরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একজন নারীর প্রয়োজন ছিল। সেই নারীই কুমারী মেরি। যাকে মা মেরি নামে ডাকে খ্রিস্টানরা। ‘ঈশ্বরের আগ্রহে ও অলৌকিক ক্ষমতায়’ মা মেরি কুমারী হওয়া সত্ত্বেও গর্ভবতী হন। ঈশ্বরের দূতের কথামতো শিশুটির নাম রাখা হয় যিশাস, বাংলায় বলা হয় ‘যিশু’।

শিশুটি কোনো সাধারণ শিশু ছিল না। ঈশ্বর যাকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানবজাতির মুক্তির জন্য। যিশু নামের সেই শিশুটি বড় হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনান।

বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। তারা এতে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে শুভেচ্ছা জানান।

Exit mobile version