Site icon Jamuna Television

আজও রহস্য : হারিয়ে যাওয়া ৩ জাহাজ

বারমুডা ট্রায়াঙ্গলের রহস্যময় সব অন্তর্ধানের কারণ নিয়ে অনেক তত্ত্ব দাঁড় করা হয়েছে। কেউ বলেছেন, ওখানকার সমুদ্রে বা আকাশে আস্ত একটা ফাটল আছে।

প্রকৃতির সেই রহস্যময় ফাটলে পড়ে বিমান বা জাহাজ হারিয়ে যায় চিরকালের মতো। কেউ বলেন, অজানা এক সভ্যতার কথা, যেখানে আগুনের গোলা লাফিয়ে ওঠে। বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে যায় সব জাহাজ ও উড়োজাহাজ। কারও মতে, ওই অঞ্চলে পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভূমিকম্পের জন্য বিশাল জলস্তম্ভ জাহাজ, উড়োজাহাজ সবকিছুকে নিজের গহবরে টেনে নেয়।

কেউ বলেছেন, অন্য গ্রহের প্রাণী বা এ জাতীয় কিছু, যা আপাতদৃষ্টিতে অবিশ্বাস্য। কিন্তু কোনো সমাধান মেলেনি। এরকমই ৩টি অন্তর্ধান নিয়ে আজকের আয়োজন-

* ফ্লাইট নাইনটিন : মার্কিন বিমান বাহিনীর ফ্লাইট ১৯, যা টিভিএম আভেঞ্জার টর্পেডো বোমারু বিমানের একটি। এটি প্রশিক্ষণ চলাকালে ১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বর আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হয়। বিমানবাহিনীর ফ্লাইট পরিকল্পনা ছিল ফোর্ট লডারদেল থেকে ১৪৫ মাইল পূর্বে এবং ৭৩ মাইল উত্তরে গিয়ে, ১৪০ মাইল ফিরে এসে প্রশিক্ষণ শেষ করা।

বিমানটি আর ফিরে আসেনি। নেভি তদন্তকারীরা নেভিগেশন ভুলের কারণে বিমানের জ্বালানিশূন্যতাকে বিমান নিখোঁজের কারণ বলে চিহ্নিত করেন। বিমানটি অনুসন্ধান এবং উদ্ধারের জন্য পাঠানো বিমানের মধ্যে একটি বিমান পিবিএম ম্যারিনার ১৩ জন ক্রুসহ নিখোঁজ হয়। ফ্লোরিডা উপকূলে থাকা একটি ট্যাঙ্কার একটি বিস্ফোরণ দেখার রিপোর্ট করে কিন্তু উদ্ধার অভিযানে এর সত্যতা পাওয়া যায়নি।

* ইউএসএস : যুক্তরাষ্ট্রের নৌ-ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে ইউএসএস সাইক্লপস নিখোঁজ হয়ে যাওয়া। অতিরিক্ত ম্যাঙ্গানিজ আকরিক ভর্তি বিমানটি ১৯১৮ সালের ৪ মার্চ বার্বাডোস দ্বীপ থেকে উড্ডয়নের পর একটি ইঞ্জিন বিকল হয় এবং ৩০৯ জন ক্রুসহ নিখোঁজ হয়। যদিও কোনো শক্ত প্রমাণ নেই তবু অনেক কাহিনী শোনা যায়।

কেউ বলেন ঝড় দায়ী, কেউ বলেন ডুবে গেছে। আবার কেউ এ ক্ষতির জন্য শত্রুপক্ষকে দায়ী করেন। উপরন্তু, সাইক্লপসের মতো আর দুটি ছোট জাহাজ প্রোটিউস এবং নেরেউস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে নিখোঁজ হয়। সাইক্লপসের মতো এ জাহাজ দুটিতেও অতিরিক্ত আকরিক ভর্তি ছিল।

* ডগলাস ডিসি ৩ : ২৮ ডিসেম্বর ১৯৪৮ সালে একটি ডগলাস ডিসি ৩, ফ্লাইট নম্বর এনসি ১৬০০২, সান জুয়ান, পুয়ের্তো রিকো থেকে মিয়ামি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। বিমানে থাকা ৩২ জনসহ বিমানটির কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। সিভিল এরোনটিক্স বোর্ডের তদন্ত নথিপত্র থেকে বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার সম্ভাব্য একটি কারণ পাওয়া যায়, সেটি হল- বিমানের ব্যাটারি ঠিকমতো চার্জ না করে পাইলট সান জুয়ান থেকে রওনা দেন। কিন্তু এটা সত্যি কিনা তা জানা যায়নি।

Exit mobile version