Site icon Jamuna Television

গোবিন্দগঞ্জে মেয়র পুত্র স্কুলছাত্র সাম্য হত্যা মামলার রায় ১৬ জানুয়ারি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি:

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর মেয়র আতাউর রহমান সরকারের ছেলে স্কুলছাত্র আশিকুর রহমান সাম্য (১৪) হত্যা মামলার রায় আগামী ১৬ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।

চাঞ্চল্যকর এ মামলায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) গাইবান্ধা জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালতে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে এ দিন ধার্য করা হয়।

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলাম শফিক।

তিনি বলেন, সাম্য হত্যা মামলাটি প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে আদালতে বিচার কার্যক্রম চলছে। মামলাটির ওপর গোবিন্দগঞ্জের নিম্ন আদালতে ৪০ দিন এবং গাইবান্ধা জেলা জজ আদালতে ১৭ দিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া মামলায় এ পর্যন্ত ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয় আদালতে। মামলায় মোট ১১ আসামীর মধ্যে ৬ আসামি জেলহাজতে ও ৫ আসামি জামিনে আছে। আগামী ১৬ জুন মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত। সকল সাক্ষী-প্রমাণ, আসামিদের জবানবন্দিসহ সবকিছু পর্যালোচনা করে মামলার রায় ঘোষণা হবে। এ রায়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে বলে আশা করছেন তিনি’।

এদিকে, সাম্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক আসামিদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের রায়ে জড়িতরা যেন সর্বোচ্চ শাস্তি পায় সেই প্রত্যাশা গোবিন্দগঞ্জবাসীর।

সাম্যর বাবা আতাউর রহমান সরকার বলেন, ‘একমাত্র ছেলে সাম্যকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিত এই হত্যার ঘটনায় জড়িতরা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাই আদালত হত্যার সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবেন বলে দাবি তার’।

উল্লেখ্য, গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আশিকুর রহমান সাম্য ২০১৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়। পরদিন গোবিন্দগঞ্জের বর্ধনকুঠি বটতলার কমিউনিটি সেন্টারের পেছনের সেপটিক ট্যাংক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সাম্য হত্যার ঘটনায় তার বাবা পৌর মেয়র আতাউর রহমান বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করে। মামলায় সাম্য হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে পৌর কাউন্সিলর জয়নাল আবেদিনকে প্রধান আসামি করা হয়।

ঈদুল আজহার আগের দিন নিখোঁজের পর সাম্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি এবিএম জাহিদুল ইসলামকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছিল। হত্যার ঘটনায় আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রামে ফুঁসে উঠে সাম্যর স্বজন, সহপাঠীসহ গোবিন্দগঞ্জবাসী। দ্রুত হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে উঠে সাম্য মঞ্চ।

Exit mobile version