
বরগুনা প্রতিনিধিঃ
বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের নির্ধারিত তারিখ আজ (৮ জানুয়ারি)। এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
সাক্ষ্য গ্রহণের প্রথম দিন আলোচিত এ হত্যা মামলার প্রথম সাক্ষ্য দেবেন নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ। প্রথম সাক্ষ্য গ্রহণের দিন আদালতে একমাত্র তিনিই সাক্ষ্য দেবেন। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবে আদালত।
এছাড়াও একই দিনে এই মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের দিন ধার্য রয়েছে। এ উপলক্ষে যশোর শিশু কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামিকে বরগুনার আদালতে আনা হয়। পরে বুধবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১১ দিকে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান এদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- মোঃ রাশিদুল হাসান রিশান ফরাজী (১৭+), মোঃ রাকিবুল হাসান রিফাত হাওলাদার (১৫+), মোঃ আবু আবদুল্লাহ রায়হান (১৬+), মোঃ ওলিউল্লাহ অলি (১৬+), জয় চন্দ্র সরকার চন্দন (১৭+), মোঃ নাইম (১৭+), মোঃ তানভীর হোসেন (১৭+), নাজমুল হাসান (১৪+), রাকিবুল হাসান নিয়ামত (১৫+), মোঃ সাইয়েদ মারুফ বিল্লাহ মহিবুল্লাহ (১৭+), মারুফ মল্লিক (১৭+), প্রিন্স মোল্লা (১৫+) ও রাতুল সিকদার জয় (১৬) এবং আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ (১৬+)।
গত ১ জানুয়ারি রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এই ১০ আসামির মধ্যে রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৩), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মোঃ হাসান (১৯),ও মোঃ মুসা (২২), এবং আয়শা সিদ্দিকা মিন্নির (১৯) বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে ৩০২ এবং ৩৪ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০) এবং কামরুল ইসলাম সাইমুনের (২১) বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র এবং আসামিদের পালাতে সহায়তা করার অভিযোগে ২১২ এবং ১২০ (বি) ১ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। আর অপর আসামি মোঃ সাগরের (১৯) বিরুদ্ধে হত্যার ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত।
গত ২৬ জুন বরগুনার সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়। এরপর গত ১ সেপ্টেম্বর বিকেলে ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক; দুই ভাগে বিভক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন।
এ মামলার চার্জশিটভুক্ত প্রাপ্তবয়স্ক আসামি মোঃ মুসা এখনো পলাতক। এছাড়া নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ও অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামি প্রিন্স মোল্লা উচ্চ আদালতের নির্দেশে জামিনে রয়েছেন। অন্য সব আসামি কারাগারে।
 
				
				
				
 
				
				
			


Leave a reply