Site icon Jamuna Television

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রে মার্কিন ঘাঁটি ধ্বংসের ছবি প্রকাশ

This January 8, 2020, satellite image released by Planet Labs Inc., reportedly shows damage to the Ain al-Asad US airbase in western Iraq, after being hit by rockets from Iran. - Iran fired a volley of missiles on January 8 at Iraqi bases housing US and other foreign troops, the Islamic republic's first act in its promised revenge for the US killing of Iranian General Qasem Soleimani. (Photo by HO / Planet Labs Inc. / AFP) / RESTRICTED TO EDITORIAL USE - MANDATORY CREDIT "AFP PHOTO / Planet Labs Inc." - NO MARKETING - NO ADVERTISING CAMPAIGNS - DISTRIBUTED AS A SERVICE TO CLIENTS

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরাকের আইন আল-আসাদ বিমান ঘাঁটির সাতটি ভবন ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বসবাস করেন।

কৃত্রিম উপগ্রহের ছবিতে এসব ধ্বংসযজ্ঞের ছবি দেখা গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে জানা গেছে।

বাণিজ্যিক উপগ্রহ কোম্পানি প্লানেট ল্যাবস দুটি ছবি প্রকাশ করেছে। রয়টার্স এই ছবি পর্যালোচনা করেছে। গত বছরের ২৫ ডিসেম্বরের ছবিগুলোর সঙ্গে বুধবারের হামলার পর ক্ষয়ক্ষতির তুলনা করা সম্ভব হয়েছে।

অবকাঠামোর অন্তত তিনটি কাঠামো বিমান ব্যবস্থাপনা হ্যাংগার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু ভবন পুরোপুরো অদৃশ্য হয়ে গেছে। তাদের কিছু অংশ রয়ে গেছে।

ক্যালিফোর্নিয়ায় মন্টারিতে মিডলবুরি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের জেফরি লুইস বলেন, ঘাঁটির মার্কিন অংশকে হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে তারা। তারা এটাকে আঘাত করতে চেয়েছে এবং আঘাত করেছে।

ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের কিনার থেকে ফিরে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার তিনি বলেছেন, ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ইরান তার আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে।

হোয়াইট হাউস থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত এক ভাষণে এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোর দিয়ে বলেন, দুটি ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কোনো আমেরিকান হতাহত হয়নি। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সামান্যই।

তবে তেহরানের বিরুদ্ধে দ্রুতই নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন তিনি। আঘাতের বদলে পাল্টা আঘাতে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটি যে আভাস দিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প।

গেল শুক্রবার ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যায় ট্রাম্পের নির্দেশের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাওয়ার যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তার এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সেটা প্রশমিত হয়েছে।

Exit mobile version