Site icon Jamuna Television

শ্রম আইন না মানায় ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা

ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ফাইল ছবি।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক রহিবুল ইসলামের আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) তরিকুল ইসলাম ফৌজদারি এ মামলা করেন। মামলায় ড. ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা, পরিচালক আ. হাই খান ও উপ-মহাব্যবস্থাপক (জিএম) গৌরি শংকরকে বিবাদী করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) আদালত ও বাদীর সূত্রে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। আগামী ১২ জানুয়ারি মামলার বিষয়ে আদেশ দেবেন আদালত।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, মামলার বাদী ২০১৯ সালের ১০ অক্টোবর গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স পরিদর্শন করতে গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ১০টি বিধি লঙ্ঘনের বিষয় দেখতে পান।

গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সের বিরুদ্ধে যেসব বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- যে ১০টি বিধি লঙ্ঘন করেছে ড. ইউনূসের কোম্পানি

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর গত ১০/১০/২০১৯ খ্রি. তারিখে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬, বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) আইন ২০১৩ ও বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫ এর নিম্নোক্ত ১০টি লঙ্ঘন পরিলক্ষিত হয়। ড. ইউনূসের কোম্পানি এগুলো লঙ্ঘন করেছে:

১. বিধি মোতাবেক শ্রমিক/কর্মচারীদের নিয়োগপত্র, ছবিসহ পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বহি প্রদান করা হয়নি।

২. বিধি মোতাবেক শ্রমিকের কাজের সময় এর নোটিশ পরিদর্শকের নিকট হতে অনুমোদিত নয়।

৩. কোম্পানিটি বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক রিটার্ন দাখিল করেনি।

৪. কর্মীদের বৎসরান্তে অর্জিত ছুটির অর্ধেক নগদায়ন করা হয় না।

৫. কোম্পানির নিয়োগবিধি মহাপরিদর্শক কর্তৃক অনুমোদিত নয়।

৬. ক্ষতিপূরণমূলক সাপ্তাহিক ছুটি ও উৎসব ছুটি প্রদান-সংক্রান্ত কোনো রেকর্ড/রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হয় না।

৭. কোম্পানির মুনাফার অংশ ৫% শ্রমিকের অংশগ্রহণ তহবিল গঠনসহ লভ্যাংশ বণ্টন করা হয় না।

৮. সেফটি কমিটি গঠন করা হয়নি।

৯. কর্মীদের অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করালেও কোনো ঠিকাদারি লাইসেন্স গ্রহণ করেননি।

১০. কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ করেনি।

এর আগে, একই আদালত গত ৯ অক্টোবর ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। পরে ৩ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জাকিয়া পারভীনের আদালত থেকে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তিনি।

Exit mobile version