Site icon Jamuna Television

মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

মুজিব বর্ষের ক্ষণগণনা’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া জন্মশত বার্ষিকীর লোগো উন্মোচন করেছেন তিনি। আজ থেকে ৬৬ দিন পর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে শুরু হবে মুজিব বর্ষ।

তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে জাতীয় প্যারেড গ্রান্ডে এক অভিনব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ক্ষণ গণনা শুরু হয়। এসময় ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারির বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সেই ক্ষণকে ফুটিয়ে তোলা হয়। রানওয়েতে অবতরণ করে একটি বিমান। বিমানের দরজায় বঙ্গবন্ধুর প্রতীকী ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়। পরে তোপধ্বনি প্রতীকী গার্ড অব অনার দেয়া হয় সেই প্রতীকী আলোতে। যেভাবে সেদিন তাকে সম্মান দেয়া হয় ঠিক সেভাবেই আজও সম্মান দেয়া হয় প্রতীকী এ প্রত্যাবর্তনে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহেনা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়সহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শেখ মুজিবের জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হতে পারতো না। আমরা স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা অর্জন করতে পারতাম না। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করা হয়েছিলো। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনে সেই স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যে দিয়ে যার যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। নির্দেশ দেন বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। বাংলার জনগণ তার নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিল।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ২০ বছরের সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম। বাঙালি জাতি মুক্তি পেয়েছিল। শেখ মুজিবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে যার কাছে যা আছে তাই নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছিল।

তিনি আরও বলেন, ২৫ মার্চ যখন পাকিস্তানি হানাদাররা হামলা শুরু করেছিল ঠিক তখনই জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয় অর্জন করেছিল। ৭ মার্চের ভাষণের মধ্যে দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও যুদ্ধে বিজয় যে অবশ্যম্ভাবী সে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বাঙালি তার নির্দেশ পালন করে সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিয়েছিল।

এই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দেশের ৫৩টি জেলা, দুটি উপজেলা ও রাজধানীর ৮৩টি পয়েন্টসহ নানা স্থানে বসানো কাউন্টডাউন ঘড়িতে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হলো।

Exit mobile version