Site icon Jamuna Television

বায়ু দূষণ রোধে সিটি করপোরেশনের ব্যর্থতায় আবারও ক্ষোভ হাইকোর্টের

রাজধানী ঢাকার বায়ু ও পরিবেশ দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতায় ক্ষোভ জানিয়েছেন হাইকোর্ট।
বলেন, এ দেশের প্রকৌশলীদের দূরদর্শিতার অভাব আছে, সে কারণে একই রাস্তা বারবার খোঁড়াখুঁড়ি করে পরিবেশ নষ্ট করা হয়, বায়ুদূষণ করা হয়।

সোমবার দুপুরে ঢাকায় বায়ুদূষণের কারণ ও দূষণরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের বিষয়ে আদেশে হাইকোর্ট এ ক্ষোভ জানান। বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, সড়ক পরিবহন আইন অনুয়াযী কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী সমস্ত যানবাহন রাস্তায় চলাচল বন্ধ করতে হবে। বেআইনি সকল ইটভাটা দুই মাসের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেন আদলত। লাইসেন্স বিহীন সকল টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি মেরামতের কার্যক্রম এক মাসের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেন।

আবাসিক এলাকায় শপিংমল না করার নির্দেশনা দিন হাইকোর্ট। বলেন, রাস্তায় যেন কোনো ময়লা পড়ে না থাকে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। মার্চের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সিটি করপোরেশনে এ আদেশ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন আদালত।

উচ্চ আদালত বলেন, ঢাকার প্রান্তসীমায় ধূলা রোধে পানি ছিটানো হয় না, কেবল কেন্দ্রে এবং অভিজাত এলাকায় ছিটানো হয়। এটাতো ঠিক না। দুবেলা করে সারা ঢাকা শহরের সব জায়গায় পানি ছিটানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আদালত বলেন, সাধারণ গাড়ির কাগজপত্র ঠিক নেই, পুলিশের গাড়ির পর্যন্ত কাগজপত্র নেই। আর এসব মেয়াদহীন গাড়ির কারণে বায়ুদূষণ বেশি হয়।

হাইকোর্ট বলেন, ওয়ার্ড কমিশনার দিয়ে প্রত্যেক বাড়ি থেকে ময়লা ফেলার টাকা উঠানো হয়। তবু কেন বাইরে ময়লা পড়ে থাকবে। এখানে কয়েকশ কোটি টাকার ভাগ বাটোয়ারার ব্যবসা হয়! কোনো ময়লা রাস্তায় পড়ে থাকলে সিটি করপোরেশনকে দায়ী করা হবে।

এছাড়া, ঢাকায় নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত সমস্ত বালি, বস্তায় ভরে পরিবহনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উন্নয়ন কর্মে সমস্ত নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখার, সঠিক নিয়মে দূষণ ব্যাতিরেকে রাস্তা নির্মাণ ও কার্পেটিং করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

নির্দেশ দিয়েছেন, সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী কালো ধোঁয়া নির্গমনকারী সমস্ত যানবাহন রাস্তায় চলাচল বন্ধেরও।

Exit mobile version