Site icon Jamuna Television

অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর না করেই মস্কো ছাড়লেন খলিফা হাফতার

অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর না করেই মস্কো ছাড়লেন লিবিয়ার বিদ্রোহী কমান্ডার খলিফা হাফতার। অবশ্য, স্বাক্ষর করেছে জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সেরাজ। চুক্তির বিষয়ে এখনও আশাবাদী মধ্যস্থতাকারী তুরস্ক ও রাশিয়া। বার্লিনে লিবিয়া বিষয়ক সম্মেলনের প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে জার্মানি। সম্ভাব্য তারিখ আগামী রোববার।

গেল শনিবার অস্ত্রবিরতির ঘোষণা দিলেও ত্রিপোলি দখল অভিযান অব্যাহত রেখেছে হাফতার বাহিনী। সোমবারও সংঘাত হয়েছে রাজধানীর আশপাশের এলাকায়।

এ পরিস্থিতিতেই অস্ত্রবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে মস্কোয় আলোচনায় যোগ দিয়েছেন লিবিয়ার বিবদমান দু’পক্ষ। ন্যাশনাল অ্যাকর্ড সরকারের প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সেরাজ স্বাক্ষর করলেও, চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্তে আরও একদিন সময় নিয়েছেন বিদ্রোহী কমান্ডার খলিফা হাফতার। তবে চুক্তির বিষয়ে আশাবাদী অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব দানকারী দু’দেশ রাশিয়া ও তুরস্ক।

প্রথমদিনের আলোচনায় বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলা যায়। ন্যাশনাল অ্যাকর্ড সরকারের প্রধানমন্ত্রী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির কমান্ডার খলিফা হাফতার সিদ্ধান্ত গ্রহণে একদিন সময় চেয়েছেন।আশা করছি ইতিবাচক সিদ্ধান্তই নেবেন।

এই মুহূর্তে একটি চুক্তির মাধ্যমে স্থায়ী অস্ত্রবিরতি কার্যকরে চেষ্টা করছি। মস্কোয় উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করছে প্রতিনিধিরা। আশা করছি, শীঘ্রই একটি কার্যকর সমাধানে পৌঁছানো যাবে।

লিবিয়া বিষয়ক সম্মলনের প্রস্তুতি চলছে জার্মানির বার্লিনে। সম্ভাব্য তারিখ রোববার বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলরের মুখপাত্র।

তুর্কি ও রুশ সরকারের প্রচেষ্টায় অস্ত্রবিরতি প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাচ্ছে জার্মানি। চ্যান্সেলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের সাথে সম্মেলনের বিষয়ে আলোচনা করছেন। বার্লিন সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সমাধানের পথে হাঁটা শুরু করবে সব পক্ষ, এটাই প্রত্যাশা।

লিবিয়ার অস্ত্রবিরতি প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দেশটির পুনর্গঠনে জাতিসংঘকে ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান ইইউর।

Exit mobile version