Site icon Jamuna Television

হুমকিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, দোষ ইঁদুরের!

চলমান বন্যায় উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলা বিধ্বস্তপ্রায়। বিভিন্ন স্থানে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়েছে। গাইবান্ধার কয়েকটি উপজেলাও বন্যায় আক্রান্ত। নদনদীর পানি এখনো বাড়তে থাকায় এমনিতেই গাইবান্ধায় পরিস্থিতি আরো অবনতির শঙ্কা আছে।

এর মধ্যে যোগ হয়েছে নতুন ঝুঁকি। পানি তোড়ে জেলার বেশিরভাগ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চরম হুমকির মুখে। যে কোনো সময় ভেঙে প্লাবিত হতে পারে নতুন নতুন অঞ্চল। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সংস্কারের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে অনেক বাঁধ। কিছু ক্ষেত্রে ভাঙন দেখা দেয়ায় এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে বালুর বস্তা ফেলে কোনো মতে ঠিকিয়ে রাখছেন। সারা বছর পাউবো’র কোনো তৎপরতা না থাকায় ক্ষোভ স্থানীয়দের মাঝে।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড নিজেদের দায়িত্বে অবেহলার অভিযোগ অস্বীকার করে বাঁধ ঝুঁকির মধ্যে ফেলার জন্য ইঁদুরকে দায়ী করেছে। শুষ্ক মৌসুমে বাঁধের ভেতর ইঁদুর গর্ত করে রাখায় এখনকার তীব্র স্রোতে গর্তগুলো বড় হয়ে ভাঙনের হুমকিতে ফেলেছে বলে দাবি সংস্থাটির।

জেলা পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসছে বাধে ফাটল ধরে পানি পড়ছে। আমরা সেসব জায়গা গিয়ে ছোট ছোট খাল কেটে গর্তগুলো বন্ধের চেষ্টা করছি।

এদিকে এলাকাবাসী বলছেন, শুষ্ক মৌসুমে বাধ পর্যবেক্ষণ করে এসব ত্রুটি সমাধান না করায় এখন ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। অনেক জায়গায় মাটি সরে গিয়ে বাধ নিচু হয়ে গেলেও তা নিয়ে কোনো গরজ নেই কর্মকর্তাদের, শুধু বন্যা দেখা দিলে একটু দৌড়ম ঝাঁপ করেন তারা।

এ বিষয়ে প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমানের বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যদি এসব কাজের জন্য বাজেট বরাদ্দ পেতাম তাহলে শুষ্ক মৌসুমেই কাজগুলো করতে পারতাম। এখন বন্যা দেখা দেয়ার পর জরুরি ভিত্তিতে এসব কাজের জন্য দৌড়াতে হতো না।

গাইবান্ধার ব্রক্ষপুত্র, তিস্তা, করতোয়া, ঘাঘট ও বাঙালি নদীর গ্রাস থেকে জনপদ রক্ষায় নির্মাণ করা হয় ৭৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এবারের বন্যায় বাধ ধসের ফলে প্লাবিত হয়েছে গোবিন্দগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সাদুল্যাপুর উপজেলা। এখন ঝুঁকির মুখে শহরসহ বাকী চার উপজেলা।

/কিউএস

Exit mobile version